বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী কেএম শহীদুল্লাহ শহীদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়। অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় গত ২৩ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গতকাল সকালে এই আদেশের কপি বরিশাল সিটি করপোরেশনে এসে পৌঁছেছে। সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসমা আক্তার রুমি এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হাজী শহীদ বিসিসির বর্তমান পরিষদের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র। নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টানা চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি।
শহীদ বরিশাল মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি রাতে নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দার মেডিকেল কলেজ লেনে হাজী শহীদুল্লাহর বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধারের দাবি করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে। ২২ জানুয়ারি বরিশাল জেলা জজ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হন তিনি। যদিও হাজী শহীদের পরিবার এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছে।জানা গেছে, বিসিসির বর্তমান মেয়র ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থক একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু কাউন্সিলর শহীদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের এই ব্যবস্থা গ্রহণকে একপেশে বলে দাবি করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।
জানতে চাইলে হাজী কেএম শহীদুল্লাহ শহীদ মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করবেন বলে জানান।