মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদে স্থবিরতা

এক অভিযানেই দায়িত্ব শেষ করল প্রশাসন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ওই সব অবৈধ বসতভিটা-স্থাপনা উচ্ছেদের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে একটি অভিযান পরিচালনা ছাড়া কিছুই করা হয়নি। তারপর থেকে প্রশাসন নীরব রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতি ঝুঁকিপূর্ণ চার পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তিন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বিশেষ দায়িত্ব দেন। এরপর গত ২৫ জুলাই মতিঝরনা ও বাটালি হিল পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ১৫০টি ঘরের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু এরপর আর কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি।  

সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আছিয়া খাতুন বলেন, নানা কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যায়নি। তবে শিগগিরই এসব পাহাড়ে ফের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে। এবার চার পাহাড়েই একযোগে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা আছে।  

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৫তম সভায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আছিয়া খাতুন, আগ্রাবাদ সার্কেলের নোমান হোসেন ও চান্দগাঁও সার্কেলের মো. রুহুল আমিনকে। এ তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মতিঝরনা, বাটালি হিল, এ কে খান পাহাড়, ও আমিন টেক্সটাইলের পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। 

পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১৯৩ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

সর্বশেষ খবর