শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এখনো সরেনি পুরান ঢাকার অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড

মাহবুব মমতাজী

এখনো সরেনি পুরান ঢাকার অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড

পুরান ঢাকার ধোলাইখাল ও ইংলিশ রোড দখল করে রাখা অবৈধ ট্রাক ও পিকআপস্ট্যান্ড এখনো সরেনি। ফলে রায় সাহেব বাজার, ইংলিশ রোড ও লালমোহন স্ট্রিট রোডে লেগে থাকে তীব্র যানজট। চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের। কিন্তু এসব জায়গার মালিক সিটি করপোরেশন হলেও তা উচ্ছেদে কোনো মাথাব্যথা নেই স্থানীয় কাউন্সিলরদের। বরং তাদের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড— এমন অভিযোগ  স্থানীয়দের।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে  প্রভাবশালীদের  বাধার মুখে পড়ে উচ্ছেদ অভিযান থেকে ফিরে যেতে হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলে জানিয়েছে  সিটি  করপোরেশন সূত্র।  

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কের ওপর ট্রাক ও পিকআপ রাখায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধোলাইখাল ও ইংলিশ রোডে লেগে থাকে যানজট। এতে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্তানে যাতায়াতে যাত্রীদের চার থেকে পাঁচগুণ বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। তাঁতীবাজার মোড় থেকে রায় সাহেব বাজার পর্যন্ত ইংলিশ রোডের দক্ষিণ পাশে সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে রাখা আছে ৩৫ থেকে ৪০টি পিকআপ। এসব মালবাহী যান কিছুক্ষণ পর পরই স্ট্যান্ড থেকে সড়কে বের হয়। আবার রাখা হয় স্ট্যান্ডে। এতে বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে তাঁতীবাজার পর্যন্ত সড়কে লেগে থাকে তীব্র যানজট। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করে পথচারীরা। এ ছাড়া বানিয়ানগর পঞ্চায়েত কমিটি ফটক থেকে শুরু করে ধোলাইখালের টং মার্কেট পর্যন্ত সড়কের দক্ষিণ পাশে গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাকস্ট্যান্ড। যার কারণে প্রশস্ত রাস্তাও সংকীর্ণ হয়ে গেছে দুই-তৃতীয়াংশ। সেখানে রাখা হয়েছে প্রায় ৫০টি ট্রাক ও পিকআপ। ধোলাইখাল মূল ট্রাকস্ট্যান্ডের ভিতর আছে প্রায় ২০০ ট্রাক ও পিকআপ। ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ডে রয়েছে ঢাকা ট্রাক, মিনি ট্রাক ট্যাংক লরি ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ঢাকা জেলা ট্রাক ট্যাংক লরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়। একই সঙ্গে এ এলাকার সড়কের ফুটপাথে বসানো হয়েছে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অভিযানের বেশির ভাগ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রভাবশালীদের বাধার মুখে পড়তে হয়। ফলে আর উচ্ছেদ করা যায় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর