শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার স্বস্তিতে কাটল ঢাকাবাসীর ঈদ

প্রশাসনের কড়া নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করল রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা। নগরবাসীর নিরাপত্তায় ১৫ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য পোশাকে-সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঈদ উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপনে সড়ক, রেল ও নৌপথ, পশুর হাট এবং ঈদ জামাতস্থলসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, ভবন ও মার্কেটে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। গতকাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ঈদের আগের দিন রাতেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, বায়তুল মোকাররমসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এ ছাড়া ঈদের নামাজ হয়েছে সেসব স্থানে পুলিশ সদস্যরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানে। কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ছিল মনিটরিং সেল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মন্ত্রিপাড়া, ব্যাংক-বীমা অফিস, জাতীয় সংসদ ভবন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিপণি বিতানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হয়েছে।

ঈদের ছুটিতে জাতীয় চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতীয় জাদুঘরসহ রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে বসানো হয় পুলিশ ও র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প। পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপির পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়। সেখান থেকে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, চাঁদাবাজ, ছিনতাই ও অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে তারা সতর্ক অবস্থান ছিল। বিভিন্ন স্থান বা মোড়ে বসানো হয় অস্থায়ী চেকপোস্ট, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট পেট্রল ও তল্লাশি চৌকি। ছিল সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় নগরীকে। গতকাল সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মানুষের মন থেকে জঙ্গি আতঙ্ক কেটে গেছে। ঈদুল ফিতরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তত্পর ছিল। এ কারণে এই ঈদে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা জঙ্গি আতঙ্ক দূর করতে পেরেছি। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সফলতা। বাংলাদেশের মানুষ যা চায় না, তা কখনো হয় না। এটি আজ প্রমাণিত। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের ১২ হাজারেরও বেশি সদস্য নগরবাসীর নিরাপত্তায় কাজ করেছে। সম্প্রীতি বেশকিছু ঘটনার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই স্বস্তিতে নগরবাসী ঈদ উদযাপন করেছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঈদ উপলক্ষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নগরবাসী স্বস্তিতে ঈদ পালন করেছে। র‌্যাবের চেকপোস্ট ও টহল জোরদার রয়েছে। যাতে ঢাকামুখী মানুষ নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারেন।

সর্বশেষ খবর