ঢাকায় কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে অস্থিরতা। বিক্রেতারা ইচ্ছামতো ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া  গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডাও দেখা গেছে।

সন্ধ্যায় সানোয়ারা বেগম নামে এক নারী কাঁচা মরিচের দাম শুনে বিক্রেতার সঙ্গে হৈচৈ শুরু করেন। কারওয়ান বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা তার কাছে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম চান ৩০ টাকা। আর এক কেজি বা এর বেশি কিনলে ২৮০ টাকা রাখা যাবে বলে জানান। সানোয়ারার বক্তব্য, সকালে একটি সুপারশপ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন। এত দাম দেখে তখন অল্প পরিমাণ কেনেন। ভেবেছিলেন কারওয়ান বাজারে দাম কম হবে। কিন্তু বাজারে এসে দাম শুনে তিনি হতাশ। বিক্রেতার কাছে তার প্রশ্ন, কারওয়ান বাজারে দাম বেশি হবে কেন? এত বেশি হবে কেন?

সঞ্জীব নামে এক ব্যক্তি বলেন, আজ (গতকাল) সকালে তিনি ১৬০ টাকায় কাঁচা মরিচ কিনেছেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এখন কেজিতে দাম বেড়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। জুরাইনের এক বাজার থেকে বিপ্লব রহমান ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছেন ৪০ টাকায়।

রাজধানীর রামপুরা মহানগর প্রজেক্টে ভ্যানে করে সবজি বিক্রেতারা প্রতি কেজি মরিচের দাম রাখছেন ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা।

কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, আড়ত থেকে বেশি টাকায় তারা মরিচ কিনেছেন। তাই খুচরা বিক্রিও বেশি দামে করছেন।

কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মল্লিক নুরুল আমিন বলেন, ঈদের আগে থেকেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। ঈদের আগে মরিচের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ থেকে দামটা বেশি বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচা মরিচ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ মানভেদে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা। স্বপন কুমার নামে আড়তের একজন কর্মচারী বলেন, গত দুই দিনে দাম ওঠানামা করছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে দামও বেড়েছে।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের কারণে ট্রাক আসছে না। আড়তে খুব বেশি কাঁচা মরিচও নেই। এ কারণে দাম বেড়েছে। তার মতে, দুই দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।