শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষার দাবিতে দীর্ঘ মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষার দাবিতে দীর্ঘ মানববন্ধন

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বসতবাড়ি ও জাদুঘরসহ তার নামের বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় বাবুগঞ্জের রহিমগঞ্জ গ্রামে সন্ধ্যা নদীতীরে এলাকাবাসীর দীর্ঘ মানববন্ধনের একাংশ — বাংলাদেশ প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার এবং তার পৈতৃক ভিটাসহ তার নামে থাকা অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাক্ষুসে সন্ধ্যা নদীর রহিমগঞ্জ পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রহিমগঞ্জ গ্রামেই মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পৈতৃক ভিটা, তার নামে প্রতিষ্ঠিত স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার; কলেজ এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এ ছাড়া তার স্মৃতিবিজড়িত রহিমগঞ্জ বাজারও নদী ভাঙনে নিশ্চিহ্নপ্রায়। তার ছোট ভাই মো. মঞ্জুর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে সন্ধ্যার তীরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুই ঘণ্টা স্থায়ী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন, আগরপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যড়্গ এবায়দুল হক শাহীন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেক, সেনা বাহিনীর প্রশাসনিক কর্মকতা নজরম্নল ইসলাম হাওলাদার, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যড়্গ মোফাজ্জেল হোসেন ও মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিড়্গক আবুল কালাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় ইতিমধ্যে সন্ধ্যা নদীতে হারিয়ে গেছে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বসতবাড়ির প্রায় ৫ একর জমি সহ রহিমগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ লঞ্চঘাট ও বাজার। ভাঙনের মুখে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠের নামে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক জাদুঘর, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজসহ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক বসতভিটার সর্বশেষ স্মৃতিচিহ্নটুকুও।

এমনকি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে দড়্গিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু। অথচ এ ব্যাপারে কোন তড়িত উদ্যোগ নেই কর্তৃপড়্গের। বক্তারা বীরশ্রেষ্ঠ’র স্মৃতি বিজরিত তার পৈত্রিক ভিটা সহ অন্যান্য স্থাপনা রড়্গার জন্য সরকারের আশু সু-দৃস্টি কামনা করেন।

সর্বশেষ খবর