শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পানির দামে ইলিশ

বাজার দর

মোস্তফা কাজল

পানির দামে ইলিশ

ইলিশে সয়লাব রাজধানী। পাশাপাশি বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম। কয়েক বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে দেশের সাগর উপকূলে এবার ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এত ইলিশ এবার ধরা পড়ছে যে মৌসুম শেষে এর পরিমাণ গত বছরের চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি হবে বলে মনে করছে মত্স্য বিভাগ। এ ছাড়া এবার যে দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ বছরে সেই দামে রাজধানীতে এত মাছ বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, পানির দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।

ঢাকার বাজারে অনেকে একসঙ্গে কয়েক হালি ইলিশ মাছ কিনছেন। ঢাকার মিরপুরের জোনাকি রোডের বাসিন্দা ইশরাত জাহান ইভা জানান, দুই দিন আগেও মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের কাঁচা বাজারে বাজার করতে এসে চারটি ইলিশ মাছ কিনেছেন। গতকাল ছুটির দিনে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি এবং তুলনামূলক কম দাম অনেককেই হতবাক করেছে। ঢাকার অভিজাত এলাকার বাসিন্দা শেখ রানা জানালেন, ‘ইলিশের এ দাম তার কাছে কল্পনার মতোই। আগে ১ কেজি ওজনের ১টি ইলিশ মাছের দাম ছিল ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। এখন ১ হালি কিনতেছি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।’ মিরপুর শাহ আলী কাঁচা বাজারের মাছ বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, ‘ইলিশের দাম এতটা নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি।’ বারিধারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। ঈদুল আজহার আগে এ বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।

বনানী বাজারে দেখা গেছে, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। এ বাজারে ১ কেজি কিংবা ১২০০-১২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়, যা ঈদুল আজহার আগে বিক্রি হয়েছিল ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায়। বিক্রেতা খোরশেদ সওদাগর বলেন, এবার যে পরিমাণ মাছ আসছে মনে হচ্ছে দাম আরও কমবে। এদিকে আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪০০ টাকায়, কাতল ৩০০- ৪০০, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০, চিংড়ি ৭০০-৯০০, টেংরা ৬০০-৭০০, সিলভার কার্প ১৬০-১৮০, পাঙ্গাশ ১৮০-২০০, চাষের কই ২৫০-২৮০ ও দেশি মাগুর ৬০০-৯০০ টাকায়।

মিরপুর, বারিধারাসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম। প্রতি কেজি করলা ৪০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, কাঁকরোল ৬০-৮০ এবং বেগুন ৪০ থেকে বেড়ে ৫০, ঝিঙা ৬০, বরবটি ৪৫-৫০, টমেটো ৮০-৯০, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫, শিম ৮০, পেঁপে ২৫, ঢেঁড়স ৪০, কচুর লতি ৫০, কচুর মুখি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর