সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের আল জুবাইল-ডাহারান সড়কে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় নিহত সহোদর বাবুল হাওলাদার ও শহিদুল ইসলাম সিরাজের বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ছয়গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাদের বাবা মা-সহ স্বজনদের গগনবিদারী চিৎকারে আশপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। উপার্জনক্ষম দুই ছেলেকে একসঙ্গে হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন তাদের বাবা-মা। কারও প্রবোধ তাদের সান্ত্বনা দিতে পারছে না। নিজের এবং পরিবারের ভাগ্য বদলাতে ১৫ বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান ছয়গ্রামের হাকিম হাওলাদারের ছোট ছেলে শহিদুল ইসলাম সিরাজ। এর কয়েক বছর পর বড়ভাই বাবুলকেও সৌদি নিয়ে যান শহিদুল। সৌদি আরবের দাম্মামে থেকে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে দেশে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানের জন্য প্রতি মাসে টাকা পাঠাতেন তারা। গত বৃহস্পতিবার সৌদি সময় সকাল ৭টায় কাজে যাওয়ার সময় দাম্মামের আল জুবাইল-ডাহারান সড়কে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে নিহত হন বাবুল ও শহিদুল। খবর পাওয়ার পর পুরো পরিবার শোকে স্তব্ধ; জানান নিহতদের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার। দুই ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিছু টাকা সঞ্চয় করে একসঙ্গে দেশে ফেরার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। এখন তাদের এবং সন্তানদের কী হবে—এ নিয়ে চিন্তিত বাবুল ও শহিদের স্ত্রী যথাক্রমে শিরিন বেগম ও সালমা বেগম।