বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

থমকে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করছে সংশ্লিষ্টরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সংসদে বিল পাস হয় গত ৩ মে। ১২ মে গেজেট প্রকাশিত হয়। কিন্তু ৫ মাস পার হলেও বিল পাসেই আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম।

অভিযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হবে স্বায়ত্তশাসন নিয়মে। তখন সেখানে মন্ত্রণালয়ের কোনো ক্ষমতা থাকবে না। এ-সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আগ্রহ কম। তাই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ থমকে আছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকরা বলছেন, ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর অনেক দিন বিষয়টি চাপা পড়ে থাকে। ২০১২ সালের জুনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের এক বৈঠকে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনা হয়। এর পরই কার্যত প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ ও আন্তরিকতায় বিলটি পাস হয়। চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আলী আশরাফ বলেন, নয়টি ফ্যাকাল্টিসমৃদ্ধ এমন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপমহাদেশে এই প্রথম হবে। এটি প্রতিষ্ঠা হলে কর্মসংস্থান হবে ৪ হাজার লোকের। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, ‘বিষয়টি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফিরে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথা রয়েছে।’ জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে ইতিমধ্যে একটি জটিলতা তৈরি হয়।

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ্য সচিব ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চমেক ক্যাম্পাস এলাকার জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে প্রণীত বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, পাঠক্রম কমিটি, বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, নির্বাচনী বোর্ড, নৈতিকতা কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্ত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতা, এখতিয়ার, শিক্ষাদান পদ্ধতি, মঞ্জুরি কমিশনের এখতিয়ার, জনবল কাঠামো, ভর্তি, সংবিধি, প্রবিধানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ৫ মাস পার হলেও এ নিয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর