সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রতারণা-জালিয়াতির অভিযোগে দুই প্রকৌশলীসহ গ্রেফতার ৪

দুদকের সাঁড়াশি অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা জেলার গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ বি এম জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী এম সাইফুর রহমান, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা হারাধন সরকার এবং শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ভূমি অফিসের সহকারী মো. রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এ বি এম জালাল উদ্দিনকে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী এম সাইফুর রহমানকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সিটি করপোরেশন দফতরের কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় দফতরের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আজিজ আহাম্মেদ। গ্রেফতারের পর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

২০০৯ সালে সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে এক লাখ ৪০ হাজার ৪৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন তিনি। এ ছাড়া অনুসন্ধানে তার ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯১ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। এই ঘটনায় চলতি বছরের ১৩ জুলাই দুদকের উপপরিচালক হামিদুল হাসান তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিলে কমিশন মামলা করার অনুমোদন দেয়। গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা হারাধন সরকারকে ৪৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া ঘুষ নেওয়ার সময় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভূমি কার্যালয়ের সহকারী মো. রহুল আমিনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুদক। দুদক কর্মকর্তারা জানান, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের আদিবাসী দিলুনী চিরাং-এর কাছে এক একর ৭৮ শতাংশ জমি নাম খারিজ করার জন্য ওই ব্যক্তি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবি অনুযায়ী গতকাল দুপুরে দিলুনী ২০ হাজার টাকা দেওয়ার সময় দুদকের বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে এক দল কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া তার পকেটে ৪৯ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর