শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্যে ধস

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর রপ্তানিমুখী স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নেমেছে। এক বছর আগেও এ বন্দরে রপ্তানি পণ্য বোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা যেত। কার আগে কে পণ্য পাঠাবেন, এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা থাকতেন ব্যতিব্যস্ত। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের উপস্থিতিতে সরগরম থাকত বন্দর এলাকা। গত কয়েক মাসে পাল্টে গেছে সেই চিরচেনা দৃশ্য। রপ্তানি কমে যাওয়ায় বন্দরে নেই কোলাহল। ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের উপস্থিতিও কমে গেছে অনেকাংশে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে এ বন্দরের শতাধিক আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বন্দরসংশ্লিষ্ট শ্রমিক। ব্যবসা কমে যাওয়ায় আমদানি-রপ্তানিকারকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। রপ্তাণি কমে যাওয়ার পেছনে ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সুবিধা, ভারতের অভ্যন্তরে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ভালো হওয়া এবং ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়নের কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়সহ সাতটি রাজ্যে প্রবেশের অন্যতম দ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন মাছ, পাথর, সিমেন্ট, ইট, বালি, শুঁটকি, প্লাস্টিকসামগ্রী, তুলাসহ প্রায় ৪২টি বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হতো।  কিন্তু পাঁচ-ছয় মাসের ব্যবধানে পাথর রপ্তানি মারাত্মক হারে কমে গেছে। এখন প্রতিদিন ১০-১৫ ট্রাক পাথর যায় ভারতে। মাছ রপ্তানিও আগের চেয়ে কমে গেছে। এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোবারক হোসেন বলেন, আগে এ বন্দর দিয়ে রড রপ্তানি হতো কিন্তু এখন ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারত রড ও জিসি শিট নিয়ে যাচ্ছে। ফলে রড ও টিন রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর