রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সফলতার ১২ বছরে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সফলতার ১২ বছরে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সের সফলতার ১২ বছর উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় কেক কাটা হয় — বাংলাদেশ প্রতিদিন

যে সময় এ দেশের সিনেমাহলগুলো থেকে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন, সেই দুঃসময়ে দর্শকদের হলমুখী করতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছিল বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স। বিশ্বমানের ছবি উপহার দিয়ে হলবিমুখ দর্শকদের আবারও হলমুখী করে এই সিনেপ্লেক্স। ২০০৪ সাল থেকে এখনো সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ের গহিনে ভালোবাসার স্থান দখল করে আছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশের আধুনিক এই স্টার সিনেপ্লেক্স। দর্শক ভালোবাসায় ধন্য হয়ে আজ সফলতার এক যুগে পদার্পণ করেছে এটি।

সুরের মূর্ছনা কথামালা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে গতকাল সিনেপ্লেক্সটির প্রতিষ্ঠার ১২ বছর উদযাপন করা হয়েছে। বসুন্ধরা সিটির লেভেল-৮ এর সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ মনোজ্ঞ আয়োজনে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। দিনাত জাহান মুন্নীর সুরের খেলার মধ্য দিয়ে ঝলমলে এ আয়োজনের সূচনা ঘটে। ষাটের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের সিনেমার গান পরিবেশন করেন শিল্পী মুন্নী। তার সংগীতের সঙ্গে বিভিন্ন গানে নৃত্য পরিবেশন করেন চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখার শিল্পীরা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা করেন চলচ্চিত্রের খলনায়ক মিশা সওদাগর, চিত্রনায়িকা পপি, সোহানা সাবা, প্রযোজক সুমন দে, নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম প্রমুখ। সংগীত পর্ব শেষে সফলতার ১২ বছরের একটি বিশাল কেক কাটা হয়। এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা (কারিগরি) ও বসুন্ধরা সিটির ইনচার্জ টিআইএম লতিফুল হোসেনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। এ সময় টিআইএম লতিফুল হোসেন বলেন, দর্শকদের নিরাপত্তা ও সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে স্টার সিনেপ্লেক্স পরিপূর্ণ বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জন্য এটা অবশ্যই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যতেও সিনেপ্লেক্স তার সফলতার ধারা অব্যাহত রাখবে।

দর্শক ও চলচ্চিত্রের মানুষদের অভিনন্দন জানিয়ে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, চলচ্চিত্রের যে দুঃসময়ে মানুষ সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়েছিল, সেই ক্রান্তিকালে আমরা পথচলা শুরু করেছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। হলবিমুখ দর্শকদের হলমুখী করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। আশা করি, আমরা সফল হয়েছি। অনেক বড় একটা বিপ্লব ঘটাতে পেরেছি। পাইরেসি হয়ে যাওয়ার ভয়ে হলিউড আমাদের সিনেমা দিতে চাইত না। তাদের কনভিন্স করেই ছবিগুলো আনা শুরু করেছি। ‘মনপুরা’ ৯ মাস চালিয়েছি আর এখন ‘আয়নাবাজি’র জন্য দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এটা অবশ্যই আমাদের সফলতার ইতিহাস। আগামী ২ বছরে আরও ২০টি নতুন সিনেপ্লেক্স ও ৫ বছরের মধ্যে আরও ১০০টি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। এরই মধ্যে কক্সবাজারে থ্রি-ডি স্ট্যান্ডার্ড সিনেপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে এবং আগামী জানুয়ারিতে সেটি চালু হবে বলেও তিনি জানান। এরপর স্টার সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন ইভেন্টের সহযোগী পার্টনারদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। সবশেষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। আয়োজনের শুরুতেই স্টার সিনেপ্লেক্সের পথচলার বিভিন্ন সংবাদ কাটিং নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রসঙ্গত, বসুন্ধরা সিটির লেভেল-৮ এ ২০০৪ সালের অক্টোবরে পথচলা শুরু করে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর