সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক। নগরীর নিম্নাঞ্চল দেখে মনে হবে যেন বন্যা। সিটি করপোরেশন যে ড্রেন নির্মাণ করেছে, তা কাজে আসছে না। বার বার মেয়রের আশ্বাসের পরেও ভোগান্তি কমছে না নগরবাসীর।
রাজশাহীর উপশহর এলাকা। নগরীর অভিজাত মানুষদের বাস এখানে। কিন্তু বৃষ্টির পর এই এলাকার সড়কগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি কোনো অভিজাত এলাকার সড়ক। এ সময় সবগুলো সড়কে হাঁটু পানি জমে। স্থানীয় খোরশেদ আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এমন অবস্থা। ড্রেন নির্মাণ করা হলেও সেটি কাজে আসছে না। মামুন-অর-রশিদ জানান, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করায় এমন অবস্থা। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরকে বলেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। উপশহর ছাড়াও নগরীর কলাবাগান, সাহেববাজার, ঘোষপাড়া এলাকায় জমেছে হাঁটু পানি। নগরীর নিম্নাঞ্চল যেন বন্যা কবলিত এলাকা। নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী জানান, এখন বৃষ্টি হলেই নগরীত জমে হাঁটু পানি। মানুষের ভোগান্তিও বাড়ে। সোমবার গভীর রাতের মুষলধারে বৃষ্টিতে আরও ভোগান্তি বাড়িয়েছে নগরবাসীর। তাদের ঘর-বাড়িতেও পানি উঠে গেছে। তবে রাজশাহী সিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযীম জানালেন পানি নিষ্কাশনে নেওয়া উদ্যোগ ও সীমাবদ্ধতার কথা। তিনি জানান, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার না হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই ড্রেনগুলো পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে।