শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আয়োডিন সল্টের নামে গ্লুবার সল্ট!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

গ্লুবার সল্ট ব্যবহার হয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ওয়াশিং পাউডার হিসেবে। এটি আমদানি করা হয় শিল্প লবণ হিসেবে। অভিযোগ উঠেছে, শিল্প খাতের ধবধবে সাদা এই দানাদার এখন মেশানো হচ্ছে পরিশোধিত নামের আয়োডিন লবণে। প্রতি কেজি ১১ টাকা দামের গ্লুবার সল্ট মেশানো হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজির আয়োডিন লবণের সঙ্গে। রসায়ন বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা যায়, ‘গ্লুবার সল্ট’ বাজারে ‘গ্লোবাল সল্ট’ নামে সমধিক পরিচিত। এর রাসায়নিক নাম ‘সোডিয়াম সালফেট ডেকাহাইড্রেট’। সাদা দানাদার এ পদার্থটি রাসায়নিকভাবে খুব সক্রিয়। ফলে সহজে বিযোজিত হয় না। কিন্তু অধিক তাপে বিযোজিত হলে নিরপেক্ষ লবণ হিসেবে থাকে। গ্লুবার সল্ট লন্ড্রিতে ডিটারজেন্ট, গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিতে ফাইনিং এজেন্ট (বাতাস দূর করার উপকরণ), কার্পেট ফ্রেশনার (ময়লা পরিষ্কারক) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া ডায়িং ও স্প্যানিং কারখানা, পেপার মিল, জুট মিল, চামড়া পরিশোধন, জুতার চামড়া পরিশোধন কারখানায় ব্যবহৃত হয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্লুবার সল্ট মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। সাধারণত যে লবণ (সোডিয়াম ক্লোরাইড) খাওয়া হয় তা সহজে হজম হয়। কিন্তু গ্লুবার সল্ট সহজে হজম হয় না। বরং ডিহাইড্রেটেড প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। তা ছাড়া সোডিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে মেশালে এর দ্রব্যতা কমে যায়। এ লবণ শরীর সহজে শোষণ করতে পারে না। এর প্রভাবে অ্যাজমা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, নিম্ন রক্তচাপসহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি কিডনি নষ্ট, ক্যান্সার আক্রান্ত ও পেটের পীড়ার বহুমুখী রোগ বাসা বাঁধতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর