রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধে শক্তিশালী হচ্ছে পুলিশ

কেনা হবে অত্যাধুনিক অস্ত্র

আলী আজম

সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধে শক্তিশালী হচ্ছে পুলিশ

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। আনা হচ্ছে নতুন আধুনিক আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), আর্মড-ফোর গাড়ি, অত্যাধুনিক নেট গান, স্নাইপার রাইফেল, থ্রু ওয়াল ইমেজিং ডিভাইস, রাডার (রেঞ্জ-আর) বা আধুনিক দুরবিন, বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট, গ্যাস গান, অচেতন করার গ্যাসসহ আরও অনেক কিছু। অভিযানকারী পুলিশ সদস্যদের প্রাণহানি ও জখম কমাতেই এ পরিকল্পনা। পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন কিছু সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো যেভাবে চাহিদা দেবে সে আলোকে সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হবে। একই সঙ্গে তাদের বর্তমানে যেসব সরঞ্জামের স্বল্পতা রয়েছে সেগুলোও দ্রুত কেনা হবে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ইকুইপমেন্ট) মো. কামরুল আহসান বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া আগের থেকেই চলছিল। সম্প্রতি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এর প্রয়োজনীয়তা বেশি দেখা দিয়েছে। পুলিশের নতুন জিনিসপত্র বা অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আনার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রূপনগরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বেশকিছু আধুনিক সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। সেই আলোকে নতুন কিছু সরঞ্জাম সংগ্রহের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি পারসোনেল ক্যারিয়ার; যা দিয়ে দ্রুত সময়ে শক্ত দেয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করা যাবে। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে অপারেশন থান্ডারবোল্ডে সেনাবাহিনী এ ধরনের আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার ব্যবহার করেছিল। একই সঙ্গে আসামি ধরার জন্য নেট গান সংগ্রহেরও চিন্তাভাবনা চলছে।

পুলিশ বলছে, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আধুনিক স্নাইপার রাইফেল অত্যন্ত কার্যকর। নারায়ণগঞ্জে অপারেশন হিটস্ট্রং টোয়েন্টিসেভেনে ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল অত্যন্ত কার্যকর। নারায়ণগঞ্জে অপারেশন হিটস্ট্রং টোয়েন্টিসেভেনে ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল। পাশের একটি ভবন থেকে ভিতরে থাকা আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গুলি চালানো হয়; যার একটি গুলি লেগেছিল জঙ্গি নেতা তামিম চৌধুরীর শরীরে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই গুলিতেই নিহত হয়েছে তামিম। পরে ময়নাতদন্তে তার শরীরে স্নাইপার রাইফেলের গুলি পাওয়া যায়।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত বিভিন্ন বাসাবাড়ি জঙ্গিরা আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সম্প্রতি যেসব আস্তানায় অভিযান হয়েছে তার প্রতিটিই জনাকীর্ণ এলাকায় হওয়ায় সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি ছিল। পুলিশ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সেগুলো মোকাবিলা করেছে এবং সাধারণ মানুষকে যে কোনো ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ খবর