জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যেসব বিভাগ থেকে প্রেসিডিয়ামে স্থান পায়নি সেখানে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। তবে এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পাওয়ার সুযোগ রয়েছে মনে করে বড় আকারে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে, যেসব বিভাগের নেতারা প্রেসিডিয়ামে স্থান পেয়েছেন সেখানে আনন্দের বন্যা বইছে। নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো খবর।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপিকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় উত্ফুল্ল স্থানীয়রা। চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারাও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বরিশাল : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে বরিশালের কৃতী সন্তান আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ স্থান না পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনার মতো হাসানাত আবদুল্লাহও তার বাবা তৎকালীন মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ছেলে সুকান্ত বাবুসহ পরিবারের ছয় সদস্য হারিয়েছেন। ঘাতকদের গুলিতে রক্তাক্ত হয়েছেন তার মা ও সহধর্মিণী। এ ছাড়া দলের প্রতি তার আত্মত্যাগ, মেধা, দক্ষতা, বিচক্ষণতা এবং বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার কারণেই এবার প্রত্যাশিতভাবে দলের প্রেসিডিয়ামে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন তারা। তাই আংশিক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পরও বরিশালে কোনো আনন্দ মিছিল বা মিষ্টি বিতরণ করেননি আওয়ামী লীগ কিংবা সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।সিলেট : সিলেটের কৃতী সন্তান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে স্থান পাওয়ায় খুশি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এর মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে সিলেটের অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন তারা। ক্লিন ইমেজের অধিকারী নাহিদ প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার মাধ্যমে সিলেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা বিএনপি নেতাদেরও। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘদিন ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যু ও ১৮তম জাতীয় সম্মেলনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাদ পড়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে অংশীদারিত্ব হারায় সিলেট। দীর্ঘদিন পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন।