বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে নবীন- প্রবীণের মিশেল নিয়ে আলোচনা

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নবীন- প্রবীণের মিশেল নিয়ে আলোচনা

আওয়ামী লীগের ২০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পরিবর্তন এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদে। এতে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাউন্সিলররা নির্বাচিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল কাদেরকে। ইতিমধ্যে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপিকে আবারও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. হাসান মাহমুদকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বহাল রেখেছেন। কেন্দ্রীয় এ কমিটিতে ‘প্রবীণ-নবীনের’ চমক হিসেবে নতুন করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

ঠিক তেমনিভাবেই কেন্দ্রীয় কমিটি, উপ-কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে চট্টগ্রামের আরও শীর্ষ নেতাদের চমক আসতে পারে। সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি আলোচনায় আছে সাবেক ছাত্র নেতাদের নামও। আসতে পারেন অপেক্ষাকৃত তরুণ মুখ। ’৯০-এর দশকে মাঠ কাঁপানো ছাত্রলীগ নেতারাও পদ-পদবি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলের নব-নির্বাচিত সভানেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ অনেক কিছুই নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। সেই হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্নভাবে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়নমুখী প্রকল্পের কাজ করে যাচ্ছেন। এসব বিষয় বিবেচনা করেই দলীয়ভাবেও সেই চমক দিতে পারেন বলে জানান চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাসহ সংশ্লিষ্টরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কাজ করতে চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে লবিং তদবির অব্যাহত রেখেছেন। ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবার ত্যাগের স্বীকৃতি আমি পেয়েছি।  জীবনে অনেক সুযোগ এসেছে, কিন্তু বাবা কখনো চট্টগ্রাম ছেড়ে যাননি। নানা সংকটের মধ্যেও চট্টগ্রামবাসীকে আগলে এই চট্টগ্রামেই থেকে গেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় আমার বাবাকে রাজনীতি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই চাপ উপেক্ষা করেছেন। দলের জন্য তার দীর্ঘ অবদানের পুরস্কার হচ্ছে আমার এই পদ। আমি দলের সভাপতির কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, সবার উপদেশ-পরামর্শ নিয়ে আমি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে গতিশীল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর