শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নতুন শাকসবজির দাম লাগামছাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নতুন শাকসবজির দাম লাগামছাড়া

বাজার দর

লাগামছাড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন শাকসবজি। এর মধ্যে ফুলকপির কেজি ১৩০, নতুন আলু ১০০, মুলা ৭০ ও সবুজ মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা। আর পালং শাকের আঁটি ৩০-৪০ ও লাল শাকসহ অন্যান্য শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা। নগরীর অভিজাত কাঁচাবাজার হিসেবে পরিচিত কাজীর দেউড়ির গতকালের চিত্র এটি।

বর্ষপঞ্জি ও প্রকৃতিতে শীতের দেখা না মিললেও বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। দূরদূরান্ত থেকে আসা কিছুটা অপরিপক্ব এসব সবজির দাম লাগামছাড়া। তার পরও জমজমাট বেচাকেনা চলছে।

বিক্রেতারা বলছেন, অসময়ের বৃষ্টিতে সবজি চাষে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়া এখনো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, দোহাজারী, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া থেকে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়েনি। ১০-১৫ দিনের মধ্যে এসব জায়গা থেকে প্রচুর সবজি আসবে। বর্তমানে বারোমাসি সবজিই আসছে কেবল।

কাজীর দেউড়ি বাজারে সবজি দোকানের বিক্রয়কর্মী আবদুর রহিম জানান, কাঁচা পেঁপে ৩৫ , টমেটো ৮০, শিম ৮০, বেগুন ৬০, দেশি গোল আলু ৪০, বাঁধাকপি ৬০, লাউ ৪৫, লতি ৬০, ঢেঁড়স ৭০, বরবটি ৬০, পটোল ৬০ ও কচুর ছড়া ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, সবজির আকার, রং, সতেজতা, মান, স্বাদ ইত্যাদির ওপর দাম নির্ভর করে। পচা-বাসি সবজি কাজীর দেউড়ি বাজারে বিক্রি হয় না। সেরা সবজিগুলো বাছাই করে এখানে বিক্রি করা হয়। তাই সাধারণ বাজার বা ফেরিওয়ালার সবজির চেয়ে এখানকার সবজির দাম বেশি। তা ছাড়া ফুলকপি, নতুন আলুর মতো কিছু সবজি আছে মৌসুমের প্রথম। এগুলো বেশি দামে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

মো. কামাল সবজির ওপর সাজিয়ে রেখেছেন ‘দৈনিক খুচরা মূল্য তালিকা’। যেখানে লেখা আছে কাঁচা মরিচ ৮০-৯০, ধনেপাতা ২৪০, খিরা ৪৫, গাজর ৭০ ও ক্যাপসিকাম ১৯০ টাকা। চট্টেশ্বরী মোড়ের বাসিন্দা রূপম দাশ বলেন, ‘সপ্তাহের খোলার দিনগুলোয় বাজার করা হয় না। শুক্রবারই সপ্তাহের বাজার করতে আসি। জানি কাজীর দেউড়ি বাজারে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ফ্রেশ জিনিসপত্র পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম দিকে শাকসবজি দেখলেই কিনতে লোভ হয়। কিন্তু দাম সাংঘাতিক বেশি। ফুলকপি ১২০-১৩০ ও ১ আঁটি শাকের দাম চায় ৩০ টাকা। এ ছাড়া আমদানি করা (লাইনের) রুই মাছ ২৮০, দেশি রুই আকারভেদে ৩৫০-৪০০, লাইনের কাতলা ৩০০, দেশি কাতলা ৪০০, বোয়াল ৫৮০, তেলাপিয়া ২০০, আনোয়ারার জীবিত পাবদা ৬০০, শিং ৬০০, চকরিয়ার টেংরা ৪০০, ছোট চিংড়ি ৩৫০, সমুদ্রের লাল কোরাল ৫০০, দেশি কোরাল ৪০০, গলদা চিংড়ি মাঝারি ৭৫০ আর বড়গুলো ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মাংস বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিক জানান, গরুর রানের মাংস (হাড় ছাড়া) গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেড়ে ৫৫০, হাড়সহ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৬০০, ছাগির ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া বয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫, দেশি মোরগ ৩৩০, পাকিস্তানি কক ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর