শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা

মহিষের মাংসে তেল মেখে গরুর বলে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চিংড়িতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত জেলি। মহিষের মাংসে তেল মেখে বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস বলে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি। কম দেওয়া হচ্ছে ওজনে। আছে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির হিড়িক। এভাবে বাজারে ভর করেছে ব্যাপক অনিয়ম। গ্রাহকের সঙ্গে করা হচ্ছে নানাভাবে প্রতারণা। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করলেও বেপরোয়া বিক্রেতারা। অতি মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতার সঙ্গে পণ্য নিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের অন্যতম বৃহত্তম বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফোরকান এলাহী অনুপম। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশি দামে পণ্য বিক্রির দায়ে মেসার্স বাচামিয়া স্টোরের  মো. ইসহাককে ৫ হাজার, ওজনমাপক যন্ত্রে কারচুপির দায়ে মুরগি বিক্রেতা আল-আমিনকে দুই হাজার, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ও মেয়াদহীন শিশুখাদ্য বিক্রির দায়ে শওকত স্টোরের মালিক সাইদুর রহমান সাইদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তা ছাড়া বহদ্দারহাটে জবাইখানার বাইরে পশু জবাই, মূল্য তালিকা না থাকা, বেশি দামে মাংস বিক্রি, মহিষের মাংসে তেল মেখে গরুর মাংস বলে বিক্রির দায়ে বিক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমানকে ৫ হাজার, ত্রুটিপূর্ণ ওজনমাপক যন্ত্র, কম ওজনের বাটখারা ব্যবহার করা এবং ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে মাছ বিক্রেতা বাদশা মিয়াকে দুই হাজার ও সবজি বিক্রেতা আবুল বশরকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে বাজারের মাছ বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে আট কেজি বিষাক্ত জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফোরকান এলাহী অনুপম বলেন, অভিযান তো পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদেরও একটু সততা এবং নৈতিকতার পরিচয় দেওয়া দরকার। একই সঙ্গে ক্রেতাদেরও সচেতন হওয়া জরুরি। অন্যথায় কেবল অভিযান দিয়ে এসব অনিয়ম দূর করা সম্ভব হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর