বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুই নার্সিং ছাত্রীকে গণধর্ষণ এক ছাত্র রিমান্ডে

প্রতিবাদে রাস্তায় রংপুরের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর নগরীর একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের আটক ছাত্র আলমগীর কবীরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সফিউল আলমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করে। গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রংপুরে আলাদাভাবে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল সংলগ্ন নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী নোট আনতে পাশের মেরাজ ছাত্রাবাসে সহপাঠী নিমাই শর্মার কাছে যান। সেখানে যাওয়ার পর একই প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলমগীর কবীর তাদের বাইরে দাঁড়িয়ে না থেকে মেসের ভিতরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তারা দুজন ছাত্রাবাসের ভিতরে যান। এরপর আলমগীর তাদেরকে নিমাইয়ের কক্ষে আটকে রাখেন। আর নিমাইকে পাশের কক্ষে নিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে আলমগীর তার স্থানীয় চার সহযোগী পলাশ, শাকিল, মানিক ও শাহ আলমকে ডেকে এনে দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর ধর্ষণ করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিষয়টি কাউকে জানালে আরও ক্ষতি করার হুমকি দেওয়ায় তারা প্রথমে প্রকাশ করেননি। মঙ্গলবার তারা বিষয়টি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে জানান।

নর্দার্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি কোতোয়ালি থানার ওসিকে জানালে তিনি ছাত্রীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ধর্ষিতারা থানায় মামলা করেন। একই প্রতিষ্ঠানের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী নিমাই  শর্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কোতোয়ালি থানার ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম জানান, ভিকটিমদের একজন বাদী হয়ে আলমগীর, পলাশ, শাকিল, মানিক ও শাহ আলমকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন। মূলহোতা আলমগীরকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার রাতেই থানায় গিয়ে ভিকটিমদের সব ধরনের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা ধর্ষিতাদের মেডিকেল পরীক্ষা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। রিপোর্ট পেতে পাঁচ-সাত দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর