অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে ৮০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যা গত পাঁচ বছরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ সংস্থাটির বাংলাদেশের জন্য আগামী পাঁচ বছরে তাদের ঋণ-সহায়তা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়াবে। গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি কাজুহিকো হিগুইচি ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) ২০১৬-২০২০ রিপোর্ট প্রকাশকালে ঋণ সহায়তা বৃদ্ধির এ বিষয়টি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে এডিবি ও এনইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কাজুহিকো বলেন, অবকাঠামো, মানব-উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে বাংলাদেশকে এই ঋণ দেবে এডিবি। নতুন এই আর্থিক সহায়তা রূপরেখায় বাংলাদেশে এডিবির আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ৩০০ কোটি ডলার বেশি ঋণ দেবে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৫০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংস্থাটি।

এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যা গত অর্থবছর ৭ শতাংশ পেরিয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচনে ধারাবাহিক উন্নতি এবং কর্মক্ষম তরুণ জনসংখ্যার বৃদ্ধিকে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

বাংলাদেশের অর্থনীতির কয়েকটি ঝুঁকি তুলে ধরে তিনি বলেন, এ দেশের রপ্তানি-বাণিজ্য তৈরি পোশাক খাতের ওপর অতি নির্ভরতা। এটাকে বহুমুখীকরণ করতে হবে। বেসরকারি খাতে  বিনিয়োগের  প্রতিবন্ধকতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর অভাব, গ্রামীণ দারিদ্র্য এবং জলবায়ু ঝুঁকির বিষয়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে বড় চ?্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।