শিরোনাম
শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজনীতিতে নতুন হাওয়া

শাহ দিদার আলম নবেল, সিলেট

রাজনীতিতে নতুন হাওয়া

দীর্ঘদিন সিলেটের রাজনীতিতে বিরাজ করছে স্থবিরতা। রাজনীতির মাঠে নেতা-কর্মীদের নেই তেমন কোনো আনাগোনা। তবে সিলেটের রাজনীতির এই মন্দাবস্থা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। নতুন নেতৃত্বে সিলেটের রাজনীতিতে লাগতে শুরু করেছে নতুন হাওয়া। সেই হাওয়ার বেগ বাড়াতে সিলেট সফরে আসছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে সিলেটে বেশ সক্রিয় ছিল বিএনপি। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করতে গিয়ে দলের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আটকা পড়েন মামলার জালে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে মাঠছাড়া হয়ে যান মামলায় জর্জরিত নেতা-কর্মীরা। জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রতিবাদে রাজপথে সক্রিয় হয় আওয়ামী লীগও। কিন্তু রাজপথ থেকে বিএনপি উধাও হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিও হয়ে পড়ে ড্রয়িংরুম-বন্দী। অন্যদিকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের কিছুটা সক্রিয় দেখা গেলেও পরবর্তীতে তাদেরও ঘিরে ধরে নিষ্ক্রিয়তা। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে সিলেটের রাজনীতি। সর্বশেষ পৌর ও ইউপি নির্বাচনে সিলেটে রাজনীতি সক্রিয় হওয়ার আভাস দিলেও স্থানীয় সেই নির্বাচন শেষ হতেই ফের ঝিমিয়ে পড়ে সব। তবে অবশেষে সিলেটে রাজনীতির পালে নতুন হাওয়া লাগছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে ওঠার আভাস দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। গত ১ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার কথা বলে গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তিনি। এরপর থেকে সিলেটে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। দীর্ঘদিন পর গঠিত হয়েছে সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটিও।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৯ নভেম্বর প্রথমবারের মতো সিলেটে আসছেন ওবায়দুল কাদের। ওই দিন সিলেট থেকে কেন্দ্রে স্থান পাওয়া তিন নেতাকে সংবর্ধনা দেবে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে সিলেট আওয়ামী লীগে এখন সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করে রাজপথে সক্রিয় করে তোলা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ৯ নভেম্বর সিলেট আসছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও যাতে নৌকার জয়রথ অব্যাহত থাকে, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেবেন তিনি।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান আজ সিলেট সফরে আসছেন। ‘শহীদ জিয়া স্মরণে’ এবং ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে তারা সিলেট আসছেন। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যায় জেলা-মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘দলের দুই শীর্ষ নেতার সফরে সিলেটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে বিএনপির সাংগঠনিক সুবিধা-অসুবিধা, দলীয় পলিসি, আগামী জাতীয় নির্বাচন, আগামী দিনের আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেবেন বলে আমরা আশা করছি।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর