শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

উজ্জ্বল নিশ্চিত করেন গামার অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

উজ্জ্বল নিশ্চিত করেন গামার অবস্থান

রাজধানীর বাড্ডায় চার খুনের অন্যতম ঢাকা মহানগরী উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামাকে হত্যার জন্য তার অবস্থান নিশ্চিত করেন উজ্জ্বল। তিনি ছিলেন শুটার সোহেলের সহযোগী। উজ্জ্বলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঘাতকদের কথোপকথন হয়েছিল। ডিবির সন্দেহ, গামার অবস্থান জানানোর জন্য উজ্জ্বল ঘাতকদের মোবাইলে ফোন করেছিলেন। গতকাল মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে। সূত্র বলছে, ৩১ অক্টোবর চার খুনের ঘটনায় উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের ঘটনায় তিনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে খুনের অনেক তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনকে খুনের ঘটনায় চলতি বছরের ২৭ আগস্ট হারুনুর রশিদ জুয়েল, মোজাহিদুল ইসলাম, সাফায়েত উল্লাহ ওরফে সোহাগ, রাহাত হোসেন কাব্য, ইকবাল আহম্মেদ রানা ও শাহ পরান হোসেন রাজুকে গ্রেফতার করে ডিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গতকাল পর্যন্ত এ হত্যার ঘটনায় নুরু, ফারুক মিলন, নয়ন, সৈয়দ মামুন, শাওন বাবু, পারভেজ (জামিনে বেরিয়ে এসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মৃত্যু), শাহজাহান, ফারুক মোল্লা, মিতা সুমন, জুয়েল ও উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করা হলো।

এদের মধ্যে জুয়েল, নুরু ও নয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি থাকলেও তদন্তে ১৬ জনের নাম বেরিয়ে আসে; যার মধ্যে সোহেল ও বিজয় নামে দুজন শুটারও রয়েছেন। এর মধ্যে সোহেল ভারতে পলাতক। সর্বশেষ গ্রেফতার উজ্জ্বল সোহেলের সহযোগী ছিলেন। এ মামলার চার্জশিট দ্রুতই আদালতে দাখিল করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে বাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্প এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুদ্দিন মোল্লা ও ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ মানিক। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ঢাকা মহানগরী উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান। ২৩ আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় গ্যারেজ মালিক ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবদুস সালামের। এ ঘটনায় গামার বাবা মতিউর রহমান অজ্ঞাত পরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। পরে তা ডিবিতে স্থানান্তরিত হয়।

ডিবি বলছে, মধ্য বাড্ডার আদর্শনগরে স্টার গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকার দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ছিল। এক পক্ষের নেতা বাউল সুমন মারা যাওয়ার পর অন্য পক্ষ ওই গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে বিরোধ হয় এবং হত্যার ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর