বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘ফিটনেসহীন গাড়ি সরাও’ ডাকে মালিকরা নির্বিকার

নতুন ৬০০ বাস নামাচ্ছে সরকার

আহমদ সেলিম রেজা

ফিটনেসবিহীন গাড়ির বদলে রাজধানীতে নতুন গাড়ি নামানোর সরকারের প্রস্তাবে সাড়া দেননি বাস মালিকরা। ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় সব গাড়িতে নতুন রঙের প্রলেপ লাগিয়ে রাজপথে সার্ভিস দেওয়ানো চলছে। বাহারি এসব গাড়ি চলতে চলতে মাঝপথে দুম্ করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইঞ্জিন। অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া আচরণ ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা। সরকারি হিসাবেই ৩৩ ভাগ যানবাহনের ফিটনেস নেই। তবুও মালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে এসব গাড়ি রাজপথ থেকে তুলে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বিআরটিসির মাধ্যমে নতুন যাত্রীবাহী ৬০০ বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব বাস কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বিষয়টি অবহিত করেছেন সংসদীয় কমিটিকে। সচিব এম এ এস সিদ্দিকী কমিটিকে জানান, ‘রাজধানীতে দৃষ্টিনন্দন বাস সার্ভিস চালু করতে ঢাকায় চলাচলকারী বাস মালিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তাদের আমরা একটি যৌথ কোম্পানি বা মালিকদের একটি সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে বাস সার্ভিস পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এমনকি রাজধানীতে দৃষ্টিনন্দন বাস সার্ভিস পরিচালনার জন্য নামমাত্র সার্ভিস চার্জে ঋণ দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে রাজধানীতে দৃষ্টিনন্দন বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেন। সে আলোকেই বিআরটিসির বহরে নতুন ৬০০ বাস যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে জানালার কাচ নেই, কোনোটার সিট নেই, কোনোটার সিট ভাঙা, কোনোটাতে কাঠ বেঁধে সিট তৈরি করা হয়েছে। কোনোটার  সিটের  পেছনে  হেলান  দেওয়ার কিছু নেই। বৃষ্টি হলে বাস/মিনিবাসের ছাদ চুইয়ে পড়ছে পানি। হঠাৎ মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়ছে গাড়ি। কারণ কী? ইঞ্জিন বসে গেছে। ভাড়া ফেরত নিতে গিয়ে দেখা গেল কন্ডাক্টর হাওয়া। এরই ফলে অনাবিল, তুরাগ, গ্রেট তুরাগ, জেএম, সুপ্রভাত, বাহন,  তরঙ্গ  পরিবহনের  এবং কাঁচপুর ও ডেমরা রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভুগছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর