বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চাঞ্চল্যকর তিন মামলায় ছয়জনের ফাঁসি

শিশু হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

আদালত প্রতিবেদক

ঢাকা, কুমিল্লা ও গাজীপুরে পৃথক তিন মামলায় ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরে শিশু মামুন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

রাজধানীর পল্লবীতে মোবাইল ফোনের জন্য মো. আনিস নামের ২২ বছর বয়সী যুবককে হত্যার দায়ে দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সমশের ও লালু। মামলার  নথিসূত্রে জানা  গেছে, ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দর্জি দোকানের  কর্মচারী  আনিসকে  তার  পল্লবীর বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান আসামিরা।

কুমিল্লা : সদর উপজেলার রত্নাবতী গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিহাব হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালে ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রত্নাবতী গ্রামের স্থানীয় মাইলস্টোন কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবকে অপহরণ করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে রত্নাবতী গ্রামের হাইস্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিহাবের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় মাহে আলম নয়ন ও কুদ্দুছ আলম রবিনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। অন্য দুই আসামি  অপ্রাপ্তবয়স্ক  হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে।

গাজীপুর : ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগে গাজীপুরে দুই যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. রাসেল মিয়া ও মো. মুন্না মিয়া। তাদের দুজনকেই পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ রাত ৯টার দিকে আবদুল মোমিন (১৮), আবু সাঈদ (১৮) ও হাছান মাহমুদ (২৬) বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে চড়েন। ট্রেনটি টঙ্গী রেলস্টেশন অতিক্রম করার পর চার-পাঁচ যুবক তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাদের ট্রেনের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে মমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে ‘শিশু পরিবার’-এর দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মামুন (৭) হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শিশু পরিবারের আয়া হামিদা বেগম, কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল বাশার ও শিক্ষক সাইফুর রহমান। তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ জুন লক্ষ্মীপুর শিশু পরিবার থেকে মো. মামুন নিখোঁজ হয়।

 তিন দিন পর শিশু পরিবার-সংলগ্ন সাহাপুরের একটি পুকুরপাড় থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল আজিজ মাহবুব বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর