চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুই সাংগঠনিক কমিটির কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়েছে। স্থবিরতা চলছে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নেও। দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল সপরিবারে থাকেন কানাডায়। দীর্ঘদিনের সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীও থাকছেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির অন্য নেতারাও দলীয় কর্মসূচিতে তেমন থাকেন না। অপরদিকে উত্তরের আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ কানেকশনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলে অবস্থানের কারণে অচলাবস্থা চলছে এখানেও। গত এক বছরে এ দুই সাংগঠনিক এলাকায় বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না। মামলা-হামলার ভয়ে নেতা-কর্মীদের অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হলে চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি পুনরায় চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন অধিকাংশ নেতা-কর্মী।
উত্তর জেলা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আসলাম ভাই না থাকলেও আমরা আমাদের মতো করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি থাকলে তা পালন করি। সদস্য সচিবের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই, তিনি নেতা-কর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।’
এদিকে ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কাউন্সিল হলেও দুই বছরের স্থলে সাত বছর চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল থাকলেও রয়েছেন নীরব ভূমিকায়।