শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা কাইয়ুমকে বিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা কাইয়ুমকে বিদায়

খুলনায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুুল কাইয়ুমকে শেষ বিদায় জানিয়েছে আপামর জনতা। গতকাল সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য তার মরদেহ হাদিস পার্কে রাখা হয়েছিল। এ সময় লোকারণ্য হয়ে যায় পার্ক। হাজারো মানুষ ছুটে আসেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই ব্যক্তিত্বকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে। বেলা ১১টায় লাশ শহীদ হাদিস পার্কে আনা হয়। রাখা হয় দুপুর পর্যন্ত। এখানেই জানাজা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান এমপি, বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু, বিএনপির মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ। বিউগলের করুণ সুরের মাঝে মানুষ মরহুমকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় কফিন। তাকে প্রশাসনিকভাবে গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানান পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে লাশ টুটপাড়া কবরখানায় দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, নাগরিক ফোরামের চেয়ারপারসন শেখ আবদুল কাইয়ুম বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফুসফুসের জটিল ক্যান্সারে ভুগছিলেন। খুলনার উন্নয়নে বরাবরই অগ্রগামী ভূমিকা থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে তিনি গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন। ৬৮ বছর বয়সী এই মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তিনি জয়বাংলা বাহিনী গঠন ও এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে দুই দফায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবলে থাকা রেডিও সেন্টার মুক্ত করার অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি কপিলমুনি যুদ্ধের নেতৃত্বসহ ২৩ মার্চ হাদিস পার্কে প্রথম পতাকা উত্তোলন এবং জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্নে খুলনার সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর