শিরোনাম
শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অটোরিকশা সংকটকে পুঁজি করে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য

কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

অটোরিকশা সংকটকে পুঁজি করে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য

চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের অটোরিকশা ভাড়া ৬০ টাকা, কিন্তু এখন চালকরা দাবি করছেন ৮০-১০০ টাকা। কর্ণফুলী সেতু থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত ভাড়া ১০০ টাকা হলেও ১৫০ টাকা দাবি চালকদের। কাজির দেউড়ি মোড় থেকে নয়াবাজার মোড় ভাড়া ৮০ টাকা হলেও দাবি করেন ১৩০ টাকা। 

এভাবে চট্টগ্রাম মহানগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংকটকে পুঁজি করে চালকরা ভাড়া বাণিজ্যে নেমেছেন। গণপরিবহন সংকট ও অটোরিকশা সংকটকে পুঁজি করে তারা এ বাণিজ্য করছেন। যাত্রীরাও বাধ্য হয়ে গলাকাটা এ ভাড়া দিচ্ছেন। ফলে বিপাকে পড়ছেন রোগীসহ সাধারণ যাত্রীরা।  যাত্রীদের অভিযোগ, অটোরিকশা চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও প্রশাসন নির্বিকার। এ নিয়ে বিআরটিএ কিংবা ট্রাফিক বিভাগের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।  

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (যানবাহন) মাসুদ উল হাসান বলেন, অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে অভিযোগ আসে। কিন্তু এ ব্যাপারে চালকদের নিয়মিত সতর্ক করা হয়। তারপরও তারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। এ নিয়ে চালকদের একটু নৈতিকতার পরিচয় দেওয়া উচিত।

চট্টগ্রাম মহানগর অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, কিছু চালক অতিরিক্ত ভাড়া নেয় তা আমরা জানি। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে চট্টগ্রামের ভাড়া নিয়ে পৃথক একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি করেছি। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাছাড়া বর্তমানে অনেক অটোরিকশা মালিক দৈনিক জমা ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা নিচ্ছেন। 

জানা যায়, সরকার ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলের জন্য ‘চট্টমেট্রো’ নামে ১৩ হাজার গাড়ি নিবন্ধন দেয়। এরপর থেকে নিবন্ধন বন্ধ। কিন্তু এরই মধ্যে নষ্ট, বিলুপ্ত, আগুনে পোড়াসহ নানা কারণে প্রায় তিন হাজার গাড়ি এখন নেই। অন্যদিকে, আদালত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নকে সড়কে প্রায় চার হাজার অটোরিকশা চলাচলের অনুমোদন দেয়। কিন্তু বর্তমানে আদালত এসব গাড়ি চলাচলে  নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাছাড়া, যাত্রীরা অটোরিকশার ‘বিকল্প’ হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্যবহার করছিল কিছুদিন। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর তাও বন্ধ হয়ে যায়। এ সব কারণে সড়কে অটোরিকশার সংকট চরম আকার ধারণ করে। চালকরা এ সংকটকে পুঁজি করে যাত্রীদের পকেট কাটছে বলে অভিযোগ আছে।

অটোরিকশা চালক হামিদুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে দৈনিক জমা ছিল ৬০০, এখন করা হয়েছে ৮০০ টাকা। তাছাড়া দৈনিক নানাভাবে মেরামত কাজও করাতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর