সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার চার বছরে কাজ ৭৫ শতাংশ

জুনের মধ্যে শেষ করার আলটিমেটাম

মানিক মুনতাসির

বৃষ্টি না থাকায় মগবাজার-মৌচাক এলাকায় জনদুর্ভোগ কিছুটা কমলেও রাস্তার দশা এখনো বেহাল। হেমন্তের শেষ দিকে শীত শুরু হওয়ার আগেই এ এলাকায় ভরদুপুরেও থাকছে ধূলিকুয়াশা। কিন্তু ফ্লাইওভার প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এরই মধ্যে তিনবার সময় বাড়ানো হয়েছে। সময় বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর চার বছর পর পুরো প্রকল্পের কাজ ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করতে এবং পুরো প্রকল্প উন্মুক্ত করে দিতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে আলটিমেটাম দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এদিকে মগবাজার-মৌচাক প্রকল্প এলাকার রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিন সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৭৫-৮০ শতাংশ। বেঁধে দেওয়া সময় আগামী জুনের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের বাকি অংশের নিচের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু ওপরের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে, যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় ২৪ ঘণ্টাই ধুলায় অন্ধকার থাকছে মগবাজার-মৌচাক, রাজারবাগ-শান্তিনগর। এ ছাড়া সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। মালিবাগ থেকে মৌচাক রাস্তার কিছু অংশে নতুন করে ঢালাই দেওয়া হলেও বাকি অংশে ঢালাইয়ের কাজ আটকে আছে। আর মৌচাক থেকে রাজারবাগ অংশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে হাঁটুসমান গর্ত। এসব যেন দেখার কেউ নেই। মালিবাগ-শান্তিনগর রাস্তার অবস্থা আরও করুণ। ফ্লাইওভারের নির্মাণসামগ্রী ফেলে যত্রতত্র সৃষ্টি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এর সঙ্গে হরহামেশা যুক্ত হচ্ছে রিকশাজট। ফলে মগবাজার-মৌচাক এলাকা এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত। জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া কেউই যেতে চান না ওই পথে।

এদিকে এ ফ্লাইওভারের সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি এবং ইস্কাটন থেকে মৌচাক ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। এর সুবিধাও ভোগ করছেন ব্যবহারকারীরা। আর বাকি অংশের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও নতুন করে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে জুন, ২০১৭। প্রকল্প এলাকায় শুধু যে পথচারীদেরই কষ্ট তা নয়। এ এলাকায় রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুল-কলেজ। রয়েছে একাধিক হাসপাতাল। বৃষ্টি হলে এ দুর্ভোগ বেড়ে যায় অনেক গুণ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর