বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শীতের শুরুতেই নৌপথে নাব্য সংকট চরমে

নৌযান চলাচল বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

শীত মৌসুমের শুরুতেই দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নৌপথে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলোয় ভাটার সময় পানির গভীরতা ২ থেকে ৩ ফুট নেমে আসায় জোয়ার দেখে চালাতে হয় নৌযান। একই কারণে বিঘ্নিত হয় বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের দুটি ফেরি সার্ভিস। এমনকি বরিশাল নদী বন্দরের আশপাশে নাব্য কমে যাওয়ায় ভাটার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চ পন্টুনে আসা-যাওয়া করতে বিঘ্ন ঘটছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার রাতে পন্টুনসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং শুরু হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, পন্টুন এলাকায় ড্রেজিং শেষে আরও কয়েকটি নৌপথ খনন করা হবে। তবে লঞ্চ মালিকদের অভিযোগ, একই স্থানে প্রতি বছর খননের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও সংকটের স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। সুরভী-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুর রব মিয়া জানান, পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে তাদের লঞ্চটি শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তখন নদীতে ভাটা থাকায় পানি কমে গিয়ে লঞ্চের তলদেশ আটকে যায়। ফলে লঞ্চটি পন্টুন ত্যাগ করতে পারেনি। পরে একটি কার্গো জাহাজের মাধ্যমে ধাক্কা দিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় লঞ্চটি মুক্ত করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

তিনি আরও জানান, বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচলের জন্য নদীতে কমপক্ষে ৬ ফুট গভীর পানির প্রয়োজন। বরিশাল নদী বন্দরের পন্টুন এলাকায় ভাটার সময় ওই পরিমাণ পানি থাকে না। ফলে যাত্রীবোঝাই লঞ্চের তলদেশ চরে আটকে যায়। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই তাদের নাব্য সংকটে পড়তে হয়েছে।  একাধিক নৌযান  শ্রমিক জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে নাব্য সংকটের  কারণে  কীর্তনখোলা-কালাবদরের সংযোগ  সাহেবের  হাট চ্যানেল, ভোলার ইলিশা-মেঘনার সংযোগ  রামদাসপুর চ্যানেল ও কালাবদর নদী থেকে কালাইয়ামুখী ধুলিয়া-কালিশুরি চ্যানেলে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে নৌযান চালাতে হয়। এসব চ্যানেল দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম নৌপথের যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করে। নৌযানের মাস্টার-ড্রাইভাররা জানিয়েছেন, ওই চ্যানেলগুলোয় ভাটার সময় মাত্র দুই থেকে আড়াই ফুট পানি থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর