বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
পরিবেশকদের সাফওয়ান সোবহান

বসুন্ধরা পেপার মিলে সর্বশেষ প্রযুক্তির মেশিন যোগ হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বসুন্ধরা পেপার মিলে সর্বশেষ প্রযুক্তির মেশিন যোগ হয়েছে

চিটাগং ক্লাবে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ‘আমরা করব জয় একসাথে’ শীর্ষক পরিবেশক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান বলেছেন, বসুন্ধরা পেপার মিলে অত্যাধুনিক ও সর্বশেষ প্রযুক্তির উন্নত মেশিন যোগ হয়েছে। কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে এ মেশিন যুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বসুন্ধরা পেপার মিল। একই সঙ্গে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও বাজার সম্প্রসারণে যোগ হচ্ছে আরও নতুন প্রযুক্তির মেশিন ও যানবাহন। গতকাল সকালে চিটাগং ক্লাবে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের (বিপিএমএল) চট্টগ্রাম অঞ্চলের ‘আমরা করব জয় একসাথে’ শীর্ষক পরিবেশক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিপিএমএলের নির্বাহী পরিচালক মাসুদুজ্জামান ও মাসুদুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্সের মহাব্যবস্থাপক তৌফিক হাসান প্রমুখ। সাফওয়ান সোবহান আরও বলেন, ‘বসুন্ধরা পেপার মিলের উৎপাদনের সঙ্গে সহজ ও সর্বোত্তম সরবরাহ চেইন গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে বছরে দুবার করে পরিবেশক সম্মেলন করা হবে। এতে পরিবেশকদের মধ্যে উৎসাহ ও ব্যবসায়িক মনোভাব বাড়বে বলে মনে করি।’ দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্প গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার বলেন, ‘পরিবেশকরাই একটি শিল্প গ্রুপের প্রাণ। তাদের মাধ্যমে পণ্য তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে। তাই আমরা পরিবেশকদের গুরুত্ব দিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছি।’ বসুন্ধরা পেপার মিলের মহাব্যবস্থাপক তৌফিক হাসান বলেন, ‘ধীরে ধীরে বসুন্ধরা পেপার মিলের উৎপাদিত পণ্য সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আগামীতে এ অবস্থান আরও বাড়ানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার চট্টগ্রাম। দেশের উন্নতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বসুন্ধরা পেপার মিলের নতুন নতুন পণ্য বাজারে আনা হচ্ছে। আশা করি এসব পণ্য গ্রাহকের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।’ নির্বাহী পরিচালক মাসুদুজ্জামান বলেন, ১৯৮৭ সালে যাত্রা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে বসুন্ধরা দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপে পরিণত হয়েছে। পরিবেশকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোম্পানির প্রথম ক্রেতা আপনারা। আপনারা যদি টার্গেট অর্জন করতে পারেন তবে কোম্পানির টার্গেট পূরণ হবে। কোম্পানির সফলতা আপনাদের ওপর নির্ভর করে।’ নির্বাহী পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বসুন্ধরা টিস্যু দেশের শীর্ষস্থানীয় কনজুমার প্রোডাক্ট। শুরুতে অনেকে বলেছিলেন আমাদের মতো গরিব দেশে টিস্যু ব্যবহার করবে কে? কিন্তু বাজারে আসার পর চাহিদা এত বাড়ল যে নতুন মেশিন বসাতে হয়েছে। পরিবেশক ও ভোক্তাদের আস্থা অর্জনের ফলেই এ সফলতা এসেছে।’ পরিবেশকদের মধ্যে প্রস্তাবনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের নজরুল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ইসহাক, রাঙামাটির বিলাস বিপণির বিভাষকান্তি সাহা, সাতকানিয়ার হারুন অ্যান্ড সন্সের মো. হারুনুর রশীদ, টেকনাফের নাফ এন্টারপ্রাইজের মো. জানে আলম ফারুক, বান্দরবানের সাকিব অ্যান্ড ব্রাদার্সের মোহাম্মদ আলী, পটিয়ার মির্জা এন্টারপ্রাইজের মো. বেলাল উদ্দিন, আগ্রাবাদের এস আর ট্রেডিংয়ের মো. সোহেল, পাহাড়তলীর বাহার স্টোরের মো. জাফর, রাঙ্গুনিয়ার নিশান এন্টারপ্রাইজের আবদুল মান্নান, কক্সবাজারের মেসার্স মফিজুর রহমানের মো. মফিজুর রহমান, ইপিজেডের এ এ এন্টারপ্রাইজের মো. সাব্বির হোসাইন, মিরসরাইয়ের জাহাঙ্গীর স্টোরের মো. আরাফাত, রিয়াজউদ্দিন বাজারের ফাহিম ব্রাদার্সের আবু জাহেদ খান, সীতাকুণ্ডের প্রীতি এন্টারপ্রাইজের মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ। সম্মেলনে ৩৫ জন পরিবেশককে উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। বসুন্ধরা পেপার মিলস বিশ্বমানের টিস্যু, ডায়াপার, মোনালিসা, এক্সারসাইজ বুক, এ ফোর পেপার, ডিমাই পেপার, হ্যান্ড গ্লাভস, ফ্লাট পেপার ইত্যাদি উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। প্রসঙ্গত, বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের দূরদর্শিতা ও দেশপ্রেমের কারণে এটি দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বসুন্ধরার বিভিন্ন পণ্য বাজারে ৯০ শতাংশ নেতৃত্ব দিচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর