শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা ঠেকাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

শুল্ক ফাঁকি বন্ধে হার্ডলাইনে এনবিআর

রুহুল আমিন রাসেল

পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে তিন মাসব্যাপী ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে এনবিআর। মিথ্যা ঘোষণা বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এনবিআর বলেছে, কাস্টমস স্টেশনগুলোয় ম্যানিফেস্ট ক্লিয়ারেন্স সেকশন অকার্যকর। শুল্ক কর্মকর্তাদের বার বার বলা সত্ত্বেও আমদানি ও খালাস পণ্য চালানের সমন্বয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। এমন প্রেক্ষাপটে আমদানি পণ্যের মূল্য, পরিমাণ বা ওজন ও বর্ণনায় অপঘোষণা ঠেকাতে যৌথভাবে সন্দেহজনক পণ্য চালান পরীক্ষা- নিরীক্ষা করবে এনবিআরের দুই গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান— সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি মিথ্যা ঘোষণা বন্ধে আরও আটটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।

সম্প্রতি ‘শুল্ক ও ভ্যাট অনুবিভাগের রাজস্ব আদায় অগ্রগতি ও পর্যালোচনা সভা’য় নেওয়া এ সিদ্ধান্তগুলো হলো : পণ্য চালান সমন্বয়ের জন্য ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি-রপ্তানির সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা। আমদানি-রপ্তানির তথ্য সঠিকভাবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে প্রদানের জন্য শিপিং এজেন্টকে বাধ্য করা। ইপিজেড ও নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য কীভাবে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি করা হবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা। অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে বন্ড মডিউল চালু করা। আমদানি পণ্য যথাযথ মূল্যে শুল্কায়ন নিশ্চিত করতে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ইনভয়েস ও প্যাকিং লিস্টে পণ্যের বর্ণনা ও পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার ব্যবস্থা গ্রহণ। ইনভয়েসে পণ্যের বর্ণনা ও পরিমাণ সুনির্দিষ্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট পণ্য চালান যৌথ কায়িক পরীক্ষা করা।

এ প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, আমদানি পণ্যের মিথ্যা ঘোষণা ঠেকাতে এনবিআরের জিরো-টলারেন্স নীতির আওতায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুল্ক ও ভ্যাট আদায়  অগ্রগতি  ও পর্যালোচনা সভায় বলা হয় : ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের  প্রথম  তিন  মাসে  (জুলাই  থেকে  সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায় ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে এটা লক্ষ্যমাত্রার কিছুটা কম। এর কারণ হলো, উচ্চ শুল্কহার যুক্ত পণ্যের আমদানি অনেকটা কমেছে।

সর্বশেষ খবর