বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শহর রক্ষা বাঁধে দিনে দুই লাখ টাকার চাঁদাবাজি

জিম্মি পাঁচ শতাধিক পরিবহন মালিক

মোস্তফা কাজল

ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ সড়কের (বেড়িবাঁধ) নিয়মিত চলাচলকারী পাঁচ শতাধিক গণপরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চক্রটি  প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েক লাখ টাকা। ফলে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রমাণ পেলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে শহর রক্ষা বাঁধের পুরান ঢাকার মিটফোর্ড বাবুবাজার থেকে গাবতলীর দূরত্ব ১১ দশমিক ৬০ কিলোমিটার। এ পথে প্রতিদিন কয়েক হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করে। এ ছাড়া পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর হওয়ার পর থেকে এ পথে দর্শনার্থী ও যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কের তীব্র যানজট এড়াতে ও স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গণপরিবহনের সংখ্যাও বেড়েছে। যাত্রীভোগান্তি কমাতে কয়েক ধাপে বিভক্ত করে যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা বাড়িয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এর মধ্যে শহর রক্ষা বাঁধে সাভার-বাবুবাজার (ভায়া গাবতলী) রুটে যানযাবিল পরিবহনের ২০টি, ব্রাদার্সের ৩০টি ও প্রত্যয় পরিবহনের ২০টিসহ মোট ৭০টি যাত্রীবাহী বাস প্রতিদিন চলাচল করছে। অন্যদিকে এ পথে প্রতিদিন পণ্যবাহী পাঁচ শতাধিক ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। লালবাগের নবাবগঞ্জ সেকশন টু মিটফোর্ডের বাবুবাজার রুটে প্রতিদিন প্রায় ২০টি লেগুনা চলাচল করছে। এসব লেগুনা থেকে চার থানার কিছু সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও কথিত নেতা-কর্মীরা গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকার চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ পথে চলাচলকারী লেগুনার মালিক আবদুল হামিদ খান বলেন, ‘প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় আমাদের। নইলে পরদিন লেগুনা বন্ধ থাকে। এদিকে মিটফোর্ডের বাবুবাজার বুড়িগঙ্গা ব্রিজের নিচে গাবতলী-বাবুবাজার রুটে চলাচলকারী ব্রাদার্স, যানযাবিল ও প্রত্যয় নামে তিনটি যাত্রীবাহী বাসের কাউন্টার রয়েছে। এসব পরিবহন থেকে লাইনম্যান হিসেবে পুলিশ ও কথিত নেতাদের হয়ে চাঁদা তুলছেন জাভেদ, সেলিম ও খায়ের।

সর্বশেষ খবর