বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় প্রতিবন্ধী শিশুদের মিলনমেলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় প্রতিবন্ধী শিশুদের মিলনমেলা

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গতকাল অনুষ্ঠিত ‘উইন্টার ক্যাম্প-২০১৬’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াশা সোবহান —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের মিলনমেলা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অনুষ্ঠিত ‘উইন্টার ক্যাম্প-২০১৬’ নামের এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত ঢাকার আশপাশের শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ১২টি স্কুলের ৫০০ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক।

সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান।

দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে নাচ, গান, চিত্রাঙ্কন, দৌড় ও সফট বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে অনুষ্ঠানের।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আফরোজ আহমেদ বর্ণা এসেছিলেন তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে। বসুন্ধরার আয়োজন দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বর্ণা বলেন, ‘একজন প্রতিবন্ধী শিশু যার ঘরে আছে সে-ই বোঝে কী কষ্ট। এখনো প্রতিবন্ধীরা এ দেশে অবহেলিত। তাদের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না। কেউ খেলতে চায় না। বসুন্ধরা এই শিশুদের নিয়ে এমন একটি আয়োজন করে বড় মনের পরিচয় দিয়েছে। শিশুরা সারা দিন মনের মতো করে খাওয়া-দাওয়া করল, খেলল, আনন্দ করল— এটা দেখতে কী যে ভালো লাগছে, বলে বোঝাতে পারব না। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এটি একটি বিশেষ দিন।’ বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে উইন্টার ক্যাম্প। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ইয়াশা সোবহান বলেন, ‘বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি এই শিশুদের পাশে থাকতে চাই সারা জীবন। তারা যেন বেড়ে উঠতে পারে আমার সন্তানের মতো। এ বিষয়ে আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেন আমার স্বামী বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান।’ প্রতিবন্ধী শিশু ও তাদের অভিভাবকদের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন। এ আয়োজন সম্পর্কে সুইড বাংলাদেশের মহাসচিব জাওয়াহেরুল ইসলাম মামুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বসুন্ধরা সব সময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করে। তবে তারা স্পেশাল শিশুদের নিয়ে এ আয়োজন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। আমার খুবই ভালো লেগেছে তাদের এ উদ্যোগ। শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুরা সারা দিন মনের মতো করে আনন্দ করল— এ দৃশ্য দেখতেই ভালো লাগছে।’

সর্বশেষ খবর