শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জায়গা দখলের চেষ্টা!

কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে যাওয়ার নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জায়গা দখলের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জায়গা দখলে বাধা দেওয়ায় সিলেট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের  কমান্ডার ইরশাদ আলীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্তরা বলছেন, তারা তাদের ক্রয়কৃত জায়গাতেই ঘর বানাতে গিয়েছিলেন।

জানা যায়, গতকাল সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গলির ভিতরে কয়েকজন যুবক ঘর তৈরি করছিল। এ সময় সিলেট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইরশাদ আলীসহ কয়েকজন যুবকদের ঘর তৈরিতে বাধা দেন। এ সময় ‘ছাত্রলীগ’ ও ‘যুবলীগ’ পরিচয় দিয়ে যুবকরা ইরশাদ আলীকে লাঞ্ছিত করে।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইরশাদ আলী বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আসি। এ সময় সংসদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা গলির ভিতর বেশ কয়েকজন যুবককে ঘর বানাতে দেখে বাধা দিই। এ সময় কয়েকজন যুবক নিজেদের যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকদের কাজ থামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গলির ভিতর ওই জায়গার মালিকানা দাবি করা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ধোপাদিঘীরপাড় এলাকার এম এম আবদুস সালামের ছেলে কাওসার আহমদ কোরেশী এবং লালাবাজার পুলেরপার এলাকার হাজী হারিছ মিয়ার ছেলে মো. জাহেদ আহমদকে নিজ নিজ কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাওসার আহমদ কোরেশী বলেন, ‘ভার্থখলার মো. আবদুল লতিফ চৌধুরীর কাছ থেকে ২০১৪ সালে ওই ৪ দশমিক ৫৩ শতক জায়গা আমরা ক্রয় করি। আমাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আমরা আমাদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে যাই। কাউকে     লাঞ্ছিত করা বা নিজেদের ছাত্রলীগ-যুবলীগ বলে আমরা পরিচয় দিইনি।’

ঘটনাস্থলে যাওয়া নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই কামাল আহমদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজন যুবককে ঘর বানাতে দেখে বাধা দেয় পুলিশ। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর