রাজধানীর মালিবাগের পাবনা সমিতি ভবনের ছয়তলার একটি কক্ষে আবদুস সাত্তার মণ্ডলকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার মাদকসেবী বন্ধুরা এই ব্যবসায়ীকে হত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। কিন্তু সে ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখাতে পারেনি তারা। সোমবার সকালে কলোনির ২২২/১০ নম্বর বাড়ির ভাড়া বাসায় সাত্তার হামলার শিকার হন। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। সাত্তার গার্মেন্টস পোশাকের ডায়িংয়ের ব্যবসা করতেন। জানা গেছে, পাবনা সমিতির ওই ভবনের চিলেকোঠায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আবদুস সাত্তার। তিন ছেলেমেয়ের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যান। সোমবার সকালে সাত্তারের ছোট ছেলে মোবাইলে কল দিয়ে বাবাকে না পেয়ে ওই বাড়ির মালিক মাহিরুল হক তালুকদারকে ফোন দেন। মাহিরুল ওই বাসায় গিয়ে সাত্তারকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার সময় কক্ষে সাত্তারের কোনো স্বজন ছিল না।
পুলিশের ধারণা, খুনিরা সাত্তারের পূর্বপরিচিত। হামলার আগে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাত্তার তার বাসায় মাদক গ্রহণ করেছেন। তারপর বাসায় মসলা পেষার শিল দিয়ে সাত্তারের মাথায় একাধিক আঘাত করে তাকে হত্যা করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই বাসা থেকে দুটি ফেনসিডিলের খালি বোতল, ইয়াবা গ্রহণের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ও অনেক সিগারেট পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে ওই চিলেকোঠায় যেতে নিষেধ করেছে। আর হত্যার সম্ভাব্য নানা কারণ মাথায় রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ।
জানতে চাইলে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। সন্দেহভাজন অনেকেই আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।