শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ‘টেলিমেডিসিন’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকিয়া খানম। চোখের সমস্যা নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত কেরানি হাট ‘ভিশন সেন্টারে’। সেখানেই চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে রোগীর কথা হয়। চিকিৎসক টেলিকনফারেন্স পদ্ধতিতে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেবা দেন। এতে জাকিয়াকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়তলীতে এসে চোখের চিকিৎসা করাতে হয়নি। এভাবে তৃণমূল পর্যায়ের অবহেলিত জনপদের নানা চক্ষু রোগে আক্রান্ত রোগীদের টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে গ্রামপর্যায়ের সাধারণ মানুষের অর্থ ও সময় ব্যয় করে নগরে আসতে হচ্ছে না। গ্রামে বসেই নগরের মানসম্পন্ন সেবা পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে চালু করা ‘ভিশন সেন্টার’ এ সেবা দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখি প্রতিদিনই ভোর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা এসে লাইন ধরেন। এটি আমাদের ভাবায়। তাই তৃণমূল রোগীদের কথা চিন্তা করে আমরা চক্ষু চিকিৎসাসেবাকে সম্প্রসারণ করেছি। গ্রামপর্যায়ে ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ হাসপাতালের পরিচালনায় ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানি হাট ও মিরসরাইর বারইয়ার হাটে দুটি ভিশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। এ দুটি সেন্টার থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-বিকাল টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে সেবা দেওয়া হয়। কেরানি হাট সেন্টারে দৈনিক ২০-২৫ ও বারইয়ার হাট সেন্টারে ২৫-৩০ জন চক্ষুরোগীকে সেবা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর