রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী এতে অংশ নেবে বলে দলীয় সূত্রের প্রত্যাশা। মহাসমাবেশ সফল করতে জাতীয় পার্টির সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। দলীয় সূত্র জানায়, এ সমাবেশের জন্য বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এরশাদ ও রওশন এরশাদের বিশাল আকৃতির ছবি শোভা পাচ্ছে পুরো মাঠজুড়ে।

এ ছাড়া পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরে গেছে নেতা-কর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে। মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের পুরো এলাকাজুড়ে একাধিক তোরণ নির্মাণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টি।

মহাসমাবেশের ভেন্যু পড়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে। তাই সমাবেশ সফল করার গুরু দায়িত্ব পড়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর। সে হিসেবে দক্ষিণের প্রস্তুতি দৃশ্যমান। সমাবেশ সফল করার জন্য এক মাস আগে থেকে মাঠে কাজ শুরু করে দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে ২২ ডিসেম্বর থেকে। ওই দিন সমাবেশ সফল করার জন্য সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে প্রতিনিধি সভা করে দক্ষিণ জাতীয় পার্টি। সমাবেশের প্রচারের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে তিন ধরনের অর্ধলক্ষাধিক পোস্টার লাগানো হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে লক্ষাধিক লিফলেট, এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক ফেস্টুন, পাঁচ শতাধিক ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে মহাসমাবেশের প্রচার চালানো হয়েছে। গুলিস্তান, টিকাটুলি, পোস্তগোলা, জুরাইন, রমনা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। অনেক স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ১ জানুয়ারি হবে জাতীয় রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এ দিন আমরা প্রমাণ করব এরশাদই হবেন ক্ষমতায় যাওয়ার নিয়ামক শক্তি। তাই এ সমাবেশ সফল করার জন্য ঢাকা দক্ষিণের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে নগরজুড়ে সমাবেশের পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে একাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাজী মামুনুর রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৬২টি গাড়ি আসবে। এমনিভাবে সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দেবে। এই মহাসমাবেশই হবে আগামীতে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি।

ঢাকা-১০ আসনের যৌথসভা : মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর কলাবাগানের সুলতানা টাওয়ারে ঢাকা-১০ আসনভুক্ত চারটি থানার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ। ঢাকা-১০ আসন সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব ও হাজারীবাগ থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মল্লিকের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ মো. শাহজাহান, এম এ সাঈদ, হাজী সাব্বির আলী, মো. ইসকান্দার মোল্লা, মো. অপু শিকদার প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর