শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘নিজস্ব উৎস’ পূরণে মাঠে নামছে চসিক

অর্থবছরের অর্ধেক সময়ে রাজস্ব আদায় ১৯ শতাংশ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে নির্দিষ্ট ৯টি খাতে নিজস্ব উেস আয় দেখিয়েছে ১১৯৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থবছরের অর্ধেক পার হলেও রাজস্ব আদায় মাত্র ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ অবস্থায় চসিক রাজস্ব আদায়ে নিজস্ব উেস লক্ষ্য পূরণে মাঠে নেমেছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে গৃহকর আদায়ে নগরবাসীকে দেওয়া হয়েছে আল্টিমেটাম। ইতিমধ্যে রাজস্ব বিভাগে যোগ দেওয়া নতুন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ৮টি সার্কেল পরিদর্শন করেছেন। চিহ্নিত করেছেন রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সমস্যা, অবকাঠামো-জনবল সংকটসহ নানা কারণ।

চলতি অর্থবছরে সরকারি ২ হাজার ২৮১টি ও বেসরকারি এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৫০টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে চসিকের কর দাবি ছিল ৩৪৭ কোটি ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৩ টাকা। কিন্তু গত ১ জুলাই থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর আদায় করা হয় ৬৭ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার ২৪ টাকা। যা মূল টার্গেডের ১৯  দশমিক ৪৫ শতাংশ।

প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক নয়। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে এখানে নিজস্ব উৎস আদায় অনেক বেশি  গুরুত্বপূর্ণ, না হয় উন্নয়ন কাজে বেগ পেতে হয়। কারণ সব বিষয়ে কেন্দ ীয় সরকারের উপর নির্ভর করা যায় না। তিনি বলেন, যোগদান করেই আমি ৮টি সার্কেল পরিদর্শন করি। এর মধ্যে অবকাঠামো সমস্যা, জনবল সংকট, করআদায়কারীদের যানবাহন না থাকাসহ নানা সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এসব নিরসনের উদ্যোগও নিয়েছি। আশা করছি নিজস্ব উৎস পূরণে সফল হব। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই রাজস্ব বিভাগের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তার পদ দুটিই শূন্য। একই  সঙ্গে ৮ সার্কেলের দুটির করকর্মকর্তা এবং কয়েকটি সার্কেলের উপ-করকর্মকর্তা ও করআদায়কারী নেই দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে, একজন  করআদায়কারী দীর্ঘদিন ধরে একই সার্কেলে কাজ করার সুবাদে ওয়ার্ডে অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে গ্রাহককে ফাঁকির নানা সুবিধা দিয়ে করআদায়কারী নিজেই সুবিধা ভোগের অভিযোগও আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর