মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি তদন্তে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গতকাল দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসককে এমন ধরনের অনিয়ম খুঁজতে চিঠি দিয়েছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। শিক্ষায় তৃণমূল পর্যায়ে অনিয়ম প্রতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক। এ ছাড়া রাজধানীর ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চিঠি দেন দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। চিঠিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির পদ্ধতি ও নীতিমালা, এ বছর ভর্তির জন্য আসন সংখ্যা কত, সে সম্পর্কে ১২ জানুয়ারির মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিবাণিজ্য নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ সম্প্রতি দুদকে জমা পড়েছে। ওই সব অভিযোগ যাচাই করার পর আমলে নিয়ে মীর জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলার  কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদেরও বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদেরও পরের  শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দেয়। এ ধরনের কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ফি আদায় করে। দুদক মনে করছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের প্রবণতা দুর্নীতির প্রসার ঘটাচ্ছে ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করে। তথ্য পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এর আওতায় দেশের নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নজরদারির মধ্যে আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

সর্বশেষ খবর