বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ডিএনডির উন্নয়নে ৫৫৮ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী জানান, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করবে। জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। উদ্যোগটি আবার পাঁচ বছর পরে নেওয়ায় ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটি গত বছর ৯ আগস্ট একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গোপসাগরের ১৬ নম্বর ব্লকে খনিজ অনুসন্ধান করবে বাপেক্স ও অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি সান্তোস। ব্লকের মগনামা রিং ফেন্সড এলাকায় এ অনুসন্ধান পরিচালিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এর আগে ১৬ নম্বর অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সান্তোস বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল) বাপেক্স বরাবর একটি প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব অনুযায়ী যৌথ বিনিয়োগে সম্মত হলে ৫০ ভাগ শেয়ারের ৪৯ ভাগ হস্তান্তর করতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটি। পরে বিস্তারিত আলোচনার পর সান্তোস সংশোধিত নতুন প্রস্তাব দাখিল করে। বাপেক্সের ৩৭২তম বোর্ড সভায় সান্তোসের এ সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, মগনামা অনুসন্ধান কূপ-২ খনন করতে ২৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হবে। জিডিএফ তহবিল থেকে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে। অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান উত্তোলিত তেল-গ্যাস প্রথমে পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেবে, পেট্রোবাংলা প্রত্যাখ্যান করলে দেশের মধ্যেই তৃতীয় পক্ষের কাছে তা বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা এবং নিষ্কাশন প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে কমিটি।

এরপর অর্থনৈকি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৫০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১০৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি ডেন্ডারগুলোকে অনলাইনে করাসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর