শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

জালিয়াত সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা

ইবিতে ভর্তি শুরু ১৬ জানুয়ারি

ইবি প্রতিনিধি

১৬ জানুয়ারি থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রমকে সামনে রেখে তত্পর হয়ে উঠেছে জালিয়াত সিন্ডিকেট। এরা অপেক্ষমাণ তালিকায় শেষের দিকে স্থান পাওয়া ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির আশ্বাসে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে ৮টি ইউনিটভুক্ত ২৫টি বিভাগে মোট ১ হাজার ৬৯৫ আসনের বিপরীতে মেধাতালিকা থেকে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৪৬ জন শিক্ষার্থী। আসন শূন্য রয়েছে ৪৪৯টি। অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই তালিকা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে গড়ে উঠেছে জালিয়াত সিন্ডিকেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিপরায়ণ কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, চাকরি প্রত্যাশী ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের বর্তমান কমিটির সঙ্গে যুক্ত কতিপয় নেতা-কর্মী পৃথক পৃথকভাবে এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তারা অপেক্ষমাণ তালিকায় শেষের দিকে স্থান পাওয়া ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির আশ্বাস দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ লক্ষ্যে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও সুযোগ বুঝে কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। পছন্দের প্রার্থীর জন্য ইউনিট সমন্বয়কারী শিক্ষকদেরও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষা চলার সময় জালিয়াত সিন্ডিকেট সুবিধা করতে না পারায় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তিতে বাণিজ্যর জন্য নেমেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক জানিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থী জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়, পরবর্তীতে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। স্বার্থের জন্য এরাই বিভিন্ন ভবনে অগ্নিসংযোগ ও বাস ভাঙচুর, মেইন গেটে তালা লাগানোসহ বিভিন্নভাবে ক্যাম্পাস অচল করে দেয়। তবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশাসন যেভাবে কঠোর নজরদারি রেখেছিল, ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। যে কারও বিরুদ্ধে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর