চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানাধীন ফরিদের পাড়ার হালিমা আকতার রেখা অভিনব প্রতারণার শিকার হন। মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করে রেখার তিন বছর বয়সী সন্তানকে অপহরণ করে কথিত প্রেমিক। তবে নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেখা তার সন্তানকে ফিরে পায়।
জানা যায়, রেখার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বরিশালের এক ছেলের সঙ্গে। কিন্তু সন্তান মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায়ই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এরপর বিভিন্নজনের ঘরে কাজ করে সংসার চালান তিনি। কয়েক মাস আগে পরিচয় হয় নোয়াখালীর সুধারাম থানার দেবিপুর-নেওয়াজপুরের আকাশ রহমান খোকার সঙ্গে। পরে বিয়ের সিদ্ধান্তে দুজনই চান্দগাঁও ফরিদের পাড়ার খলিল মাস্টারের বাড়িতে ঘরভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে সংসার শুরু করেন। এ সময় রেখা বিয়ের চাপ দেন। এ অবস্থায় গত ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিরুদ্দেশ হয়ে যায় খোকা। একই সময়ে রেখার তিন বছর বয়েসী ছেলে আহসান হাবিবও নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ৬ জানুয়ারি চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল কাদের বলেন, আমরা আকাশের মোবাইল ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি। আকাশ স্বীকারোক্তি দেন যে, আহসান হাবিব নামের শিশুটিকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর শিশুটির প্রথম ক্রেতা হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ বটতলী এলাকার সিরাজ ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফটিকছড়ির দোলন শীল-রেখা শীল দম্পতির কাছে যাই। তাদের কথা মতে বিক্রীত শিশুটি উদ্ধার করে গতকাল ম্যাজিস্ট্রেটের জিম্মায় দেওয়া হয়। শিশু অপহরণের ঘটনায় রেখা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।