বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মংলা কাস্টমস কমিশনারের অপসারণ দাবিতে ধর্মঘট

প্রধান ফটক বন্ধ করে সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় সিএন্ডএফ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মংলা কাস্টমস কমিশনার ড. আল আমিন প্রামাণিকের অপসারণ দাবিতে সমাবেশ করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী ইউনিয়ন। গতকাল সকাল থেকে খুলনায় মংলা কাস্টমস হাউসের প্রধান ফটক বন্ধ করে সিএন্ডএফ মালিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে। আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, কায়িক পরীক্ষার নামে প্রতিনিয়ত এখানে আমদানিকারকদের হয়রানি করা হয়। সম্প্রতি কায়িক পরীক্ষার সময় ঘোষিত পণ্যের সঙ্গে মিল না পাওয়ায় একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক জরিমানা ও আমদানিকৃত পণ্যের ওপর জরিমানার পরও সিএন্ডএফ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুই কর্মচারী আটক হলে তাদের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিএন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়ন। এই আন্দোলনে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সম্পৃক্ততা ঘোষণা করে।

মানববন্ধনে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লিয়াকত হোসেন বলেন, মংলা কাস্টমস হাউসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। হয়রানির কারণে অনেক আমদানিকারক এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাস্টমস কমিশনার আল আমিন প্রামাণিক পেছন থেকে সরকারের বিপক্ষে কাজ করছে। মংলা বন্দরের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অবিলম্বে এই দুর্নীতিপরায়ণ কাস্টমস কমিশনারের অপসারণ দাবি করেন তিনি। সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি খালেদ ইবনে ওয়ালি রবি বলেন, আলআমিন প্রামাণিকের কারণে আমাদের দুজন কর্মচারী জেলে রয়েছেন।  তাদের  মুক্তি হওয়া না পর্যন্ত এই কর্মবিরতির আন্দোলন চলবে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘুষ ছাড়া মংলা কাস্টমসে কোনো কাজ হয় না। কাস্টমস কমিশনারের হয়রানির কারণে অনেক আমদানিকারক এই বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

এদিকে মংলা কাস্টমস কমিশনার ড. আল আমিন প্রামাণিকের বিরুদ্ধে খামখেয়ালিপনা ও ব্যবসায়ীদের অহেতুক হয়রানির আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও কাস্টমস কমিশনার ঘোষিত মূল্যের তুলনায় বিভ্রান্তিকর উচ্চমূল্য দাবি করায় শুল্কায়ন ছাড় করাতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর