বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর করা আপিল আবেদন খারিজ করেছে আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন মুহাম্মদ ইয়াসিন খান। ইয়াসিন খান জানান, এর ফলে স্থগিত থাকা ওই আসনে উপনির্বাচন হতে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে কাদের সিদ্দিকী সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় চেম্বার জজ আদালত। ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে রায় দেয় হাই কোর্ট। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ নয় বলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল খারিজ করে আদালত ওই আদেশ দেয়। হাই কোর্টের সে রায় স্থগিত চেয়ে তিনি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালত দুই সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখে।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর ১০ নভেম্বর ওই আসনে উপনির্বাচনের দিন ধার্য করেছিল কমিশন। নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণ খেলাপের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করলে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর ?তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন। ১৮ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের চূড়ান্ত রায় দেয়। ইসির এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত ও কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে আদেশ দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আপিলে যায় ইসি। ২৭ অক্টোবর আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেন। একই সঙ্গে ইসির আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়ে ২ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন। ২ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতির দেওয়া উপনির্বাচনের ওই স্থগিতাদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উপনির্বাচন স্থগিত রেখে এর মধ্যে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রুল খারিজ করে হাই কোর্ট।

সর্বশেষ খবর