শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবৈধ ইটভাটা থেকে ভ্যাট আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবৈধ ইটভাটা থেকে ভ্যাট আদায়

রাজশাহী জেলাজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ ইটভাটা। তবে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। রাজশাহী ইট প্রস্তুতকারী সমিতির দেওয়া তথ্য মতে, রাজশাহী অঞ্চলে ১৮৫টির মতো ইটভাটা আছে। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ইটভাটার। বাকিগুলো চলছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। তবে এসব ইটভাটা মালিকরা সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছেন নিয়ম মতোই।

পরিবেশ অধিদফতর বলছে, আইন না মেনে গড়ে ওঠা ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে ইটভাটা মালিকরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির জন্য সরকার সহায়তায় এগিয়ে না এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। ভাটা মালিকদের বক্তব্য, তারা বৈধভাবেই ব্যবসা করতে চান। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। তাই চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে এসব ইটভাটা। বৈধতা না থাকলেও প্রতি ১০ লাখ ইটের বিপরীতে প্রায় চার লাখ টাকা রাজস্বও দিতে হচ্ছে সরকারকে। জেলার পবা উপজেলার কুখণ্ডি জয়পুর এলাকার ইটভাটা মালিক আবদুর রাজ্জাক ও সাকির উদ্দিন সেন্টু বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কৃষি জমি, আবাসিক ও বন বা বাগান এলাকায় ৩-৪ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা করা যাবে না। একই সঙ্গে ইট পরিবহনের জন্য সরকারি পাকা সড়কও ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এই আইন মানা আমাদের জন্য কঠিন। তাই আমরা পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না পেলেও ভাটা স্থাপন করেছি।’ তারা জানান, ভাটাগুলোর বৈধতা না থাকার কারণে পুলিশের উৎপাতও বেশি। থানা পুলিশকে চাঁদা দিয়েই তাদের চলতে হচ্ছে। তারা লাখ লাখ টাকা সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছেন, অথচ বৈধতা পাচ্ছেন না। প্রশাসন ঝামেলা করছে। তাদের অনেক টাকাও দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তন্ময় সান্যাল বলেন, সরকার অনুমোদিত যে চারটি পদ্ধতিতে ইট পোড়ানো বা প্রস্তুতের কথা বলা হয়েছে, তা খুবই ব্যয় বহুল। এ কারণে উদ্যোক্তারা আগ্রহী হচ্ছেন না।

সর্বশেষ খবর