নগরীর পিছিয়ে থাকা এক জনপদের নাম ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড। সোয়া লাখ মানুষের এ ওয়ার্ডে রয়েছে নানামুখী সমস্যা। চাক্তাই খাল ভরাট ও অবৈধ দখলের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। বেশিরভাগ সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকে যানজট। নিম্ন আয়ের বস্তিবাসী লোকের বসবাসের কারণে ঘনবসতির ওয়ার্ডটিতে পরিচ্ছন্নতা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিতান্তই অপ্রতুল। তার সঙ্গে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর দাপটে কোণঠাসা সাধারণ মানুষ। সিটি করপোরেশনের একটি হাসপাতাল থাকলেও সেটি বন্ধ রয়েছে। অপর একটি খোলা থাকলেও চিকিৎসাসেবা নেই।
মিয়াখান নগরের বাসিন্দা বখতেয়ার হোসেন বলেন, মূলত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রধান সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীদের কারণেই আমাদের যানজটের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। আগ্রাবাদ, খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ী তথা অফিস-আদালতগামী দক্ষিণ চট্টগ্রামের চাকরিজীবীরা সময় বাঁচাতে এই ওয়ার্ডের সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রধান সড়কের সংযোগ সড়কগুলো অপ্রশস্ত হওয়ায় সকাল-বিকাল থাকে যানজট।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী আছু বলেন, যানজট ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী মাস্টারপুল, এছাকেরপুল, তুলাতলীসহ কয়েকটি ব্রিজ ও সড়ক সংস্কার করলেও অনেক কাজ বাকি। বৌ-বাজার ডিসি রোড ও বাদামতলী থেকে মাস্টারপুল পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করতে হবে। এ ছাড়া মির্জাখাল ও রাজাখালী খাল খনন করে পাড়ে গ্রেটওয়াল দিলে জলাবদ্ধতা আর থাকবে না।