বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান বলেছেন— বসুন্ধরা এলপি গ্যাস নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। দেশের বিকল্প জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বোতলজাত গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বসুন্ধরা গ্যাস এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্লান্ট স্থাপন করেছে। এতে বাজারে আর গ্যাস সিলিন্ডারের সংকট থাকবে না। এক-দেড় মাসের মধ্যে ঢাকায় প্লান্টটি চালু হলে সিলেটের পরিবেশকদেরও পরিবহন সমস্যা দূর হবে। সিলেটের পরিবেশকদের আর মংলা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার আনতে হবে না।
প্রত্যন্ত এলাকায় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পরিবেশকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সাফিয়াত সোবহান আরও বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস নিরাপদ রাখতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর বাজারজাত করা হয়। এতে দুর্ঘটনার কোনো আশঙ্কা থাকে না। যে কারণে পরিবেশক ও গ্রাহকবান্ধব গ্যাস হিসেবে পরিচিত বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। বসুন্ধরার সাফল্যে সবার সহযোগিতা রয়েছে উল্লেখ করে সাফিয়াত সোবহান সবাইকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়ার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। এতে নিজের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব ডিভিশন-মার্কেটিং এম এম জসিম উদ্দীন বলেন, প্রতিমাসে সাড়ে ৩ লাখের বেশি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বাজারজাত করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশীয়ভাবে সিলিন্ডার উৎপাদন করে সাশ্রয়ীমূল্যে যাতে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া যায় সে লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কারখানা তৈরি করছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, দিন দিন কমে আসছে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ। অথচ বাড়ছে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা।বাধ্য হয়ে সরকারকে ভাবতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির। ইতিমধ্যে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাস মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আর সাশ্রয়ী মূল্য, গুণগত মান ও নিরাপত্তার বিবেচনায় এগিয়ে থাকা বসুন্ধরা এলপি গ্যাস হয়ে উঠেছে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক।
বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব ডিভিশন সেলস মীর টি আই ফারুক রিজভীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— হেড অব ডিভিশন-অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স মাহবুব আলম, ডিজিএম অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং জাকারিয়া জালাল, ভাইস চেয়ারম্যানের সচিব মো. শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবেশকরা অংশ নেন এবং বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
এর আগে সাফিয়াত সোবহান বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের কয়েকজন ডিলারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে খুলনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কীভাবে সহজে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সরবরাহ করা যায় এবং ব্যবসা সম্প্রসারণ করা যায়, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতবিনিময় করেন।