রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আলোচনা সভায় অভিমত

ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিনও ভারতকে ভুলবে না। কারণ দেশটি সবচেয়ে অসহায় সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। দুই দেশের যোদ্ধারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েছিল। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু দেশ। শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ভারতের ৬৮তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুয়ারী প্রমুখ।   

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, দুই দেশ একই ইতিহাসের অংশ। ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কও হাজার বছরের পুরনো। শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সূচনা করেন। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সেই বন্ধুত্বকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। উভয় দেশ এখন একে অপরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। দুই দেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বিকাশমান অর্থনীতির দেশ। তিনি বলেন, দিন দিন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উন্নতর হচ্ছে।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু দেশ। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মাঝে-মধ্যে তিক্ততায় রূপ নিলেও বাংলাদেশ-ভারতের ক্ষেত্রে কখনোই তা হয়নি। তিনি বলেন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চুক্তি দীর্ঘদিন পর বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক-সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ইউরোপের মতো খোলা বাজারের পদ্ধতি চালু হবে। কারণ, দুই দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এক ও অভিন্ন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর