মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি খুঁজতে দুদকের আরও পাঁচ টিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি খুঁজতে দুদকের আরও পাঁচ টিম

সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি খুঁজতে আরও পাঁচটি প্রাতিষ্ঠানিক দল গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশন এসব দল গঠনের অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করেছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, নতুন গঠিত পাঁচটি দলের নেতৃত্ব দেবেন সংস্থার পাঁচ পরিচালক। গঠিত তিন সদস্যের এসব দলে একজন করে উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক রয়েছেন। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান বিভাগের মহাপরিচালকের তত্ত্বাবধানে এসব দল কাজ করলেও সংস্থার মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী এসব দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে। এবার যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে, সেগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সব স্থলবন্দর, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদফতর।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ কে এম জায়েদ হাসান খানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে দেশের সব স্থলবন্দর, বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, খন্দকার এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদফতরে নজরদারি করা হবে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে সংস্থার আট পরিচালকের নেতৃত্বে ১৪টি প্রাতিষ্ঠানিক দল গঠন করে দুদক। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (ওসিজিএ), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, আয়কর বিভাগ, গণপূর্ত অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), ঢাকা ওয়াসা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ রেলওয়ে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং ঢাকা মহানগরের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, চলতি বছর দুর্নীতিপ্রবণ দফতরগুলোতে বিশেষ নজরদারি করবে তার সংস্থা। আর তা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর